নতুন কোন ছবি বেরোলেই এখন একটা কথা প্রায়ই শোনা যায় তাহলে বয়কট (Boycott) ।সিনেমা বেরোনোর পর বয়কট এই শব্দটা জপের মতোই উচ্চারিত হয় নেটমহলে, কার্যত ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। কোনো সিনেমা হোক বা কোনো সেলিব্রেটির দেওয়া কোন পোস্ট সেটাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হচ্ছে এবং হচ্ছে বয়কটের ডাক। নেপোটিজম নিয়ে এর আগে বিতর্কের মুখে পড়তে হতো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ।স্পষ্টত , বলা চলে স্টার্কিডদের তবে বর্তমানে ট্রেন্ড ছবি বয়কট । বয়কটের ডাক এই বিষয়টিকে নিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে পুরনো বা নতুন সব তারকাদেরই।
বয়কট (Boycott) আসলে কি কেনই বা হচ্ছে হঠাৎ করে এই ট্রেন্ড শুরু হলোই বা কি করে সেই বিষয় নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন অনেকেই ।আর সেই বহু বিতর্কিত বিষয়টিকে পর্দায় তুলে আনতে চলেছেন বা বলা চলে পর্দা ফাঁস করতে চলেছেন পরিচালক সব্যসাচী হালদার। এই চলচ্চিত্র টির মূল ভীত হল পর্দার পিছনে থাকা মানুষজন যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সাফল্য লাভ করে চলচ্চিত্র ।তাদের গল্পই বলবে এই ছবি ।
ছবিটির প্রযোজনা করছেন রাহুল চ্যাটার্জি। ছবিতে গান সংলগ্ন সকল বিষয়ে আছেন সুমন চ্যাটার্জি। ছবির গল্পটি নিয়ে অনেকেরই মনে উৎসাহের জন্ম হয়েছে। তবে এই ছবিটি (Boycott) মূল কেন্দ্রবিন্দুতে আছে একটি ছেলে যার নাম অভিক । তার বাবার শহরের একজন নামকরা পরিচালক। আর সেই চর্চা বা বিতর্ক কিংবা বলা চলে সমালোচনা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না অভিককে। তারই স্বপ্নে পৌঁছানোর গল্প এই চলচ্চিত্র। কিভাবে স্ট্রাগেলের মধ্যে দিয়ে বাবার মত পরিচালক হয়ে উঠবে সে এবং সেই ঘটনা ঘিরে তার জীবন ঠিক কোন কোন মোড়ে এসে পড়বে সেটাই দেখা যাবে এই ছবিতে ।
নানান ছবিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই দেখা গেছে বয়কটের ডাক। আরে এই বয়কট বিষয়টিকেই মূল ভিত করে ছবি তৈরি করলেন বাংলার অন্যতম পরিচালক সব্যসাচী হালদার ।ছবির গল্প লিখেছেন পরিচালক নিজেই ।এর আগে ক্লিক নামের একটি ওটিটি তে ওয়েব সিরিজ পরিচালনা করেছেন তিনি, ছবি পরিচালনার কাজ তার এই প্রথম। আশা করা যাচ্ছে তার এই ছবিটি সমস্ত তারকা মহলকেই একটা অন্য রকম স্বাদ দেবে।
আরও পড়ুন :Ponniyin Selvan-1: থিয়েটারে হুমকির মুখে পোনিয়িন সেলভান-১?