প্রাকৃতিক বার্ধক্য প্রক্রিয়ার কারণে প্রত্যেকেরই বলিরেখা(Wrinkles) তৈরি হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরেও তার প্রভাব দেখা যায়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের শরীরের মুখ, ঘাড়, হাতে বয়সের ছাপ পড়তে দেখা যায়। তবে জানেন কি বলিরেখার(Wrinkles) একটি প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করে জেনেটিক্স।
বলিরেখা(Wrinkles) হল আমাদের ত্বকের বয়স বাড়ার কারণে ত্বক কুঁচকে তৈরী হওয়া ভাঁজ। ত্বকের আর্দ্রতা(Hydration) এবং স্থিতিস্থাপকতার অভাবের ফলাফল এই ভাঁজ গুলি রাইটাইডস নামেও পরিচিত।
বলিরেখার সমস্যা সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে লক্ষ্য করা হয়। কিন্তু আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে অল্প বয়সের লোকেরাও এর শিকার হচ্ছে। সূর্যের সংস্পর্শে আসা, দূষণ, মানসিক চাপ, ধূমপান, ঘুমের অভাব ইত্যাদিও আমাদের ত্বকে বলিরেখার প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। প্রাকৃতিক বার্ধক্য প্রক্রিয়ার কারণে প্রত্যেকেরই বলিরেখা তৈরি হয়।
বলিরেখার ঘরোয়া প্রতিকার
বলিরেখা থেকে মুক্তি পেতে এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন যা আপনার সৌন্দর্যকে ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
১. অ্যালোভেরা(Aloevera) এর নিরাময় বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এছাড়াও একটি প্রচুর পরিমাণে জল এবং ভিটামিন ই কন্টেন্ট থাকে। অ্যালোভেরা(Aloevera) ত্বকে লাগালে তা বলিরেখা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা ত্বকের নিস্তেজতা দূর করতেও সাহায্য করে।
২. ত্বকে নিয়মিত নারকেল তেল(Coconut Oil) ব্যবহার করলে তা বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে এবং এটি ময়েশ্চারাইজিং এজেন্ট হিসেবেও কাজ করে। এটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতাও পুনরুদ্ধার করে। নারকেল তেল(Coconut Oil) অবশ্যই প্রভাবিত অংশে মালিশ করে রাতারাতি রেখে দিতে হবে।
৩. শসায়(Cucumber) উচ্চমাত্রায় জল, ভিটামিন এবং মিনারেলস এর উপস্থিতির কারণে শসা(Cucumber) ত্বককে টানটান করতে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। শসা গ্রেট করে রস বের করে নিন। সারা মুখে রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ পরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন…Health Care: রূপচর্চায় হলুদ