রবিবার মেদিনীপুর শহরে একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।বেলা ১১ টার পর প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত শোনার কর্মসূচি ছিল মেদিনীপুর শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে।সেই কর্মসূচির পরে সাংবাদিকদের সামনে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কার্যত বোমা ফাটান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
কুড়মিদের রেল রোকো ও রাস্তা অবরোধ নিয়ে রবিবার মেদিনীপুরে এমনটাই মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ।তিনি বলেন,কুড়মিদের খেপিয়ে তুলছে শাসকদল।কারণ জঙ্গলমহলে তারা নাকি এখন কোণঠাসা!তিনি আরো বলেন,যে রাজ্যে এই ধরনের অবরোধ হয় সেখানে রাজ্য সরকারের দায় রাস্তা খোলা রাখা।স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কথা বলা দরকার এই বিষয়ে। কিন্তু তারা তা করেনি। আসলে জঙ্গলমহলে তৃণমূল উবে যেতে শুরু করেছে। তাই কুড়মিদের খেপিয়ে নিজেদের মাটি শক্ত করার চেষ্টা করছে তারা।
সরকারি বাস পরিষেবার ক্ষেত্রে অস্থায়ী কর্মীদের অবস্থান বিক্ষোভ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, উত্সবের আগে পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে হবে। কিন্তু এই ধরনের খুব শুধু পরিবহণ ক্ষেত্রে নয়, প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই তৈরি হয়েছে। সব দিক থেকেই ব্যর্থ রাজ্য প্রশাসন। তাই এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।সম্প্রতি বিজেপির একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি নবান্ন অভিযানের হাঙ্গামা বিষয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, যারা এই তদন্তে এসেছিলেন তারা কেউই রাজনৈতিক দলের কর্মী নয়, প্রত্যেকেই আইপিএস, আইএস অফিসার তারা জানেন এ ধরনের ক্ষেত্রে কোথায় কার ত্রুটি রয়েছে তারাই তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ রাজ্যে চরমভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল। হাজার হাজার লোক এখানে এসেছিল আমাদের তার মধ্যে দু একজন যদি কোথাও কিছু ঝামেলা করে থাকে সেটা ওদের প্ররোচনাতেই হয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবারই মালদায় তৃণমূল জেলা সভাপতি বিজেপির নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেছিলেন,’কেউ বাঁশ দেখালে পা কেটে নেব।’এই প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “আপনে ঘরমে কুত্তা ভি সের হোতা হ্যায়। ওরা নিজের এলাকায় বড় বড় বীর। লোকসভা নির্বাচনের পর এরা সব বড় বড় গর্তে ঢুকে গিয়েছিল। সময় আসবে, মানুষ এগুলোর জবাব দেবে।”
আরো পড়ুন:Dilip Ghosh:এবার শুভেন্দুর সুরে তাল মেলালেন দিলীপ!