চুলের যত্নে নারিকেল তেল (coconut oil)সবচেয়ে বেশি উপকারী একথা সবাই জানেন।মা দিদাদের আমল থেকেই নারকেল তেল ব্যাবহার হয়ে এসেছে।এইসময় ঋতু পরিবর্তন হওয়ার ফলে আমাদের চুলের ও একটু বেশি যত্ন নেওয়া উচিত। চুলের যত্নে অনেক সময় আমরা পার্লারে কিংবা দামী দামী কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করি কিন্তু এই সমস্ত জিনিস ব্যবহার না করে ঘরোয়া কিছু জিনিস দিয়ে আপনি আপনার চুলের যত্ন করতে পারবেন।বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা ছাড়াও নারকেলের রয়েছে বেশ কিছু গুনাগুন জাম না চুলকে করে তুলবে ঘন এবং মজবুত ।
নারকেল তেল দীর্ঘদিন ধরে তার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এবং শুষ্ক মাথার ত্বকও এর ব্যতিক্রম নয়। এটি মাথার ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে পারে এবং এর অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।নারকেল তেল সরাসরি আপনার মাথার ত্বকে লাগান, ত্বকে ম্যাসাজ করুন। আপনার চুল ধোয়ার আগে এটিকে কমপক্ষে 10 মিনিটের জন্য বসতে দিন যেমন আপনি সাধারণত করেন। এটি শুধুমাত্র শুষ্ক মাথার ত্বকে সাহায্য করবে না, এটি আপনার চুলকে সিল্কি মসৃণও রাখবে।
একটি ছোট প্যানে কিছু নারকেল তেল (coconut oil)গরম করুন।, 10 থেকে 12টি কারি পাতা দিয়ে সেগুলিকে ফুটতে দিন। যতক্ষণ না আপনি কারি পাতার প্রান্তে কালো হয়ে যেতে দেখেন ততক্ষণ পর্যন্ত এগুলি গরম করুন। তেলটি একটু ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন যাতে, আপনার আঙ্গুল দিয়ে এটি আপনার মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন এবং চুলের মধ্যে দিয়েও এটি চালান। সারারাত রেখে দিন এবং সকালে হালকা শ্যাম্পু এবং হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের স্বাস্থ্য বাড়াতে সপ্তাহে অন্তত দুবার এটি করার চেষ্টা করুন।
খুশকি দূর করতে ১ চা চামচ লেবুর রস, দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। ভাল করে ম্যাসাজ করে চুলের গোঁড়া থেকে সম্পূর্ণ চুলে লাগান। এইভাবে সারারাত রাখুন। সকালে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। নারকেল তেলের এই প্যাকটি চুলের খুশকি দূর করার সাথে সাথে চুলকে নরম ও সিল্কি করে তুলবে।
চুল মজবুত এবং ঘন করতে অনেক কার্যকরী।আমলকি নারকেল তেল সাথে মিশিয়ে তেল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।নারকেল তেল সাথে টুকরো করে কাটা আমলকি দিয়ে জ্বাল করতে হবে বাদামি না হওয়া পর্যন্ত। ঠান্ডা হলে মাথার স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগিয়ে পরদিন শ্যাম্পু করে নিন । চুল ঘন এবং কালো হবে।
Image source-google