১৭ই সেপ্টেম্বর কথা মতো প্রকাশ্যে এলো বল্লভপুরের রূপকথার(Ballabhpurer Roopkotha) টিজার।

“বল্লভপুরের রূপকথা” গল্পটি লিখেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। এই কাজের তার সঙ্গী ছিলেন প্রতীক দত্ত। ছবিটির সিনেম্যাটোগ্রাফি করবেন সৌমিক হালদার। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করবেন শুভদীপ গুহ ও দেবরাজ ভট্টাচার্য।

মন্দার’ ওয়েব সিরিজের সাফল্যের পর এবারও পরিচালক হিসেবে কাজ করতে দেখা যাবে অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য্যকে।

ভৌতিক ব্যঙ্গাত্মক ঘরানার এই ছবি শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস(SVF) এর প্রযোজনায় মুক্তি পাবে চলতি বছরের কালী পুজোয়। ছবিতে গা ছমছমে ব্যাপারের সাথেই রয়েছে ব্যাঙ্গের ছোঁয়া। ছবিটি বাদল সরকারের অত্যন্ত জনপ্রিয় ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ নাটকের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে।

বল্লভপুর রাজবাড়ির শেষ বংশধরকে কেন্দ্র করেই এই ছবির গল্প। বল্লভপুরের প্রায় ভেঙ্গে পড়া রাজবাড়িতে বাস কেবল দু’জনের। রায় রাজবংশের শেষ বংশধর – ভূপতি রায় এবং তাঁর উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত মনোহর। যদিও ‘রাজবংশ’ প্রায় নেই বললেই চলে, কারণ এই ধ্বংসাবশেষ ছাড়া কোনও ধন-সম্পদের চিহ্ন মাত্র নেই। ফলস্বরূপ, বাড়ির দুই সদস্যই ভারী ঋণের বোঝায় জড়জড়িত। হঠাৎই একদিন সম্পত্তি বিক্রি করার প্রস্তাব পাওয়ায়, পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতির আশা খুঁজে পায় তাঁরা। ভূপতি রায়, মনোহর, ক্রেতা এবং এক ভূতের নানা কার্যকলাপে সেই রাতে বল্লভপুর রাজবাড়িতে চরম মজার বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। আর এভাবেই নানা মজার ও ভুতুড়ে ঘটনায় এগোতে থাকে ছবির গল্প…

সিনেমাটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে অনির্বাণ বলেছেন “আমি সবসময় হরর কমেডি এবং স্যাটায়ারের ছবি অত্যন্ত পছন্দ করি এবং আমরা ভাগ্যবান যে বিগত কয়েক বছর ধরে বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছ থেকে কিছু দুর্দান্ত হরর কমেডি দেখতে পাচ্ছি।” তিনি আরও বলেছেন, “এই বিশেষ ঘরানাটি অনেক বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতাকে এর আগেও আকৃষ্ট করেছে কারণ একই গল্পে হরর এবং কমেডি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে। তবে সংখ্যাটা বেশ কম। আমি যা বলতে পারি তা হল ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ হবে- হৃদয়গ্রাহী এবং একই সাথে প্রচুর বিস্ময়ের সাথে পরিপূর্ণ।”

আরও পড়ুন…Kashmir : ৩০ বছর পর আবারও ভূস্বর্গে খুলল মাল্টিপ্লেক্স