দীর্ঘ দিন তৃণমূলের হাতে থাকা ভেকুটিয়া সমবায় সমিতি দখল করে নিল এবার বিজেপি (BJP)।বিকেলে ফলাফল ঘোষণার পরে দেখা যায় ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতেই জয়ী বিজেপি।অন্যদিকে,মাত্র একটি আসনে জিতে কোনও মতে মুখরক্ষা করেছে তৃণমূল।
যদিও,ওই একটি আসনেও মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে তৃণমূল।শাসক শিবিরের দাবি, বিরোধী দলনেতা বহিরাগতদের এনে সন্ত্রাস করেই জিতেছেন।বিজেপির পাল্টা দাবি, শাসক দলের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে জয় পেয়েছেন তাঁরা।প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে নন্দীগ্রাম পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তারপরেও এ দিন সমবায় নির্বাচনের ফলাফল পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতৃত্বের চিন্তা বাড়াবেই।কারণ ভেকুটিয়ার এই সমবায় সমিতি ২০০৭ সাল থেকে তৃণমূলের হাতে ছিল।সেই সমবায় সমিতি হাতছাড়া হওয়া তৃণমূলের কাছে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা।সমবায় সমিতির ভোটকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় নন্দীগ্রামে।সকাল থেকেই ভোটকে কেন্দ্র করে দু’ পক্ষের প্রচুর কর্মী,সমর্থক এলাকায় জড়ো হয়। বহিরাগতদের এনে ছাপ্পা ভোট দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিশ।
এদিন দেখা যায়,ভোটের ফল বেরনোর পরেই ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।ভোটের ফল বেরনোর পরই এক তৃণমূলের এক অঞ্চল সভাপতিকে বিজেপি সমর্থকরা মারধর করে বলে অভিযোগ।তাঁর জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়।তৃণমূলের পতাকা, ব্যানারও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।অন্যদিকে,তৃণমূলের আরও এক ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গকে দীর্ঘক্ষণ বিজেপি সমর্থকরা ঘেরাও করে রাখে।শেষ পর্যন্ত পুলিশ গিয়ে ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠায়।সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রাম নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের।
আরো পড়ুন:Suvendu Adhikari:শুভেন্দুর নামে সিবিআই তদন্ত চেয়ে পোস্টার পড়ল এবার হলদিয়ায়!