এই নারীর সৌন্দর্য কথাতেই আছে। বর্ষার দিনে চুলের যত্ন নেওয়া খুবই দরকার। এইসময় ঋতু পরিবর্তন হওয়ার ফলে আমাদের চুলের ও একটু বেশি যত্ন নেওয়া উচিত। চুলের যত্নে অনেক সময় আমরা পার্লারে কিংবা দামী দামী কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করি কিন্তু এই সমস্ত জিনিস ব্যবহার না করে ঘরোয়া কিছু জিনিস দিয়ে আপনি আপনার চুলের যত্ন করতে পারবেন। অনেক সময় সময়ের আগে আমাদের চুলের স্বাভাবিক রং ফ্যাকাসে হয়ে যায়। চুলের স্বাভাবিক রং বজায় রাখতে ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া উপাদানগুলি
কিছুটা কারি পাতার ( Curry leaves)সঙ্গে পিয়াজ, জবা ফুল এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ নারকেল তেল নিন। এরপর এই দুটি উপাদান একসঙ্গে সেদ্ধ করতে থাকুন যতক্ষণ না কালো নির্যাস বের হয়। এবার ওই কালো নির্যাস তুলে নিয়ে চুলে প্রয়োগ করুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন এটি ব্যবহার করুন। এতে দ্রুত চুল গজানোর পাশাপাশি চুলের রঙও গাঢ় হবে।
মেথিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন বি এবং স্যাপোনিনস আছে। এগুলি চুল পড়া রোধ করে, খুশকি দূর করে ও চুল পাকা রোধ করে।মেথিটা কাপের জল নিয়ে তাতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ভেজানো মেথি (fenugreek soaked water) বেটে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি মাথার তালু থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত ব্যবহার করুন। ৫০ মিনিট পেস্টটি রেখে তার পর শ্যাম্পু করে নিন। এই প্যাকটি সপ্তাহে অন্তত ২ বার ব্যবহার করুন। চুল কালো এবং ঘন করতে সাহায্য করে
মাথার ত্বকে নোংরা আর তেলময়লা জমতে দেয় না। স্বাভাবিকভাবে দূরে থাকে খুসকিও। নিয়মিত চুলে হেনা (Henna)করলে খুসকি তো নির্মূল হয়ই, আর নতুন করে ফিরে আসতেও পারে না। হেনার অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ মাথার ত্বকের চুলকুনিও কমাতে সাহায্য করে।একটি বাটিতে এক কাপ গ্রিন টি’র মধ্যে হেনা গুঁড়ো মিক্সড করতে হবে। তারপর তাতে ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মিক্সড করতে হবে। স্ক্যাল্পে এবং চুলে মিশ্রণটি ভালো করে লাগিয়ে প্রায় ৩ ঘন্টার জন্য রেখে দিন। খুশকি দূর হবে এবং চুল ও ভালো থাকবে। চুলের স্বাভাবিক রং বজায় থাকবে।
কেশুতি গাছের সাধারণত রস ব্যবহার করা হয় অনেক কাল আগে থেকে।কেশুতি কালো রস চুলকে আরও কালো করে এবং চুলের সাদা হওয়া থেকে রক্ষা করে।যারা অল্প বয়সে সাদা চুল নিয়ে সমস্যায় পড়েন তাদের জন্য কেশরাজের রস খুব ভালো ফল দিবে।
Image source-google