দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে জলের তলায় ডুবে ছিল মসজিদ (Mosque)। কিন্তু, এবার হঠাত্ই সেটি এল জনসমক্ষে। জানা গিয়েছে, বিহারের নওয়াদায়
প্রায় তিন দশক ধরে জলের তলায় থাকা এক মসজিদ এবার সকলের সামনে এসেছে।
এদিকে, সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হল, দীর্ঘসময় যাবত্ জলের তলায় ওই মসজিদটি থাকলেও সেটি সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।
মূলত, নওয়াদার রাজৌলি ব্লক সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত
ফুলওয়ারিয়া ব্যারেজ সংলগ্ন চান্দৌলি গ্রামের কাছে ৩০ বছর যাবত্
জলে ডুবে ছিল মসজিদটি।
এদিকে, বর্তমানে সেটি সকলের নজরে আসায় তা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন উত্সুক জনতা।
এমনকি, মসজিদটির (Mosque) প্রসঙ্গ আশেপাশের গ্রামেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এমতাবস্থায়, বিভিন্ন এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা সপরিবারে মসজিদটিকে দেখতে আসছেন।
সর্বোপরি, ওই মসজিদটি বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেও উঠে এসেছে। অনেক যুবক আবার কাদা পেরিয়ে সেটিকে কাছ থেকে দেখার চেষ্টা করছেন বলেও জানা গিয়েছে।
যদিও, সেটি জলের ঠিক মাঝখানে থাকায় কাদা ও জলের কারণে অনেকে সেখানে পৌঁছতে না পেরে দূর থেকেই ফিরে আসছেন।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, ওই মসজিদটি প্রায় ১২০ বছরের পুরোনো।
যদিও, গত ৩০ বছর ধরে মসজিদটি সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে যায়।
তা সত্ত্বেও সেটির একটুও ক্ষতি হয়নি। পাশাপাশি, স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ শমসের জানিয়েছেন যে ফুলওয়ারিয়া ব্যারেজটি ১৯৮৪ সালে
নির্মিত হয়েছিল। আগে এই জায়গায় প্রচুর মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বসবাস ছিল।
এদিকে, সরকার জমি অধিগ্রহণের পরে ব্যারেজটি তৈরি করার পর
ওইসব স্থানে বসবাসকারী লোকজন বাস্তুচ্যুত হয়ে হারদিয়া বাঁধের পাশের গ্রামে বসতি স্থাপন করেন।
এছাড়াও, মোহাম্মদ আরও জানিয়েছেন যে, ব্যারেজটি নির্মাণের পর মসজিদটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
পাশাপাশি, জল ভর্তি থাকার কারণে মসজিদের শুধু গম্বুজটি দেখা গেলেও বর্তমানে জলের স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পুরো মসজিদটি ফের দেখা যাচ্ছে।