দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে কার্যত বোমা ফাটাতে চলেছেন দলের জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। কলকাতায় দলের দুই দিনের চিন্তন শিবিরে তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষুব্ধ প্রাক্তন সাংসদ। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতে চলেছেন অনুপম হাজরা।

এসএমএস পাঠিয়ে ওই নালিশ ঠুকেছেন তিনি। যদিও অনুপমের (Anupam Hazra) অভিযোগ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হননি বঙ্গ বিজেপির মুখিয়া সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) ও তাঁর ঘনিষ্ঠ পার্ষদ অমিতাভ চক্রবর্তী (Amitabha CHakroborty)।

পঞ্চায়েত ভোটে দলের রণকৌশল নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি রাজ্যে কীভাবে তলানিতে চলে যাওয়া জনসমর্থন ফেরানো যায় তার দিশা খুঁজতেই কলকাতার উপকণ্ঠে এক বিতর্কিত সাততারা রিসর্টে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্য বিজেপির বাছাই করা নেতা-নেত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন বঙ্গ বিজেপির ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল (Sunil Bansal), অমিত মালব্যরাও (Amit Malaviya)। যদিও ওই বৈঠকে যোগ দেননি শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) সহ বেশ কয়েকজন সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, চিন্তন শিবিরে হাজির নেতাদের রসনা তৃপ্তির জন্য যেভাবে মহাভোজের আয়োজন করা হয়েছিল, তা নিয়েও দলের অন্দরে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে।

দলের বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরার (Anupam Hazra) কোনও কালেই সুসম্পর্ক নেই। বরং সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে একাধিকবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। আর কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদকে তাই চিন্তন শিবিরে আমন্ত্রণই জানাননি বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। এদিন আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অনুপম বলেন, ‘রাজ্য বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরে আমাকে ডাকা হয়নি। প্রশিক্ষণ শিবির কবে, কোথায় হচ্ছে সেকথাও আমাকে জানানো হয়নি। রাজ্যে দলের সাংগঠনিক ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে কথা বলি। এটা কারও কারও পছন্দ নয়। তাই তাঁরা চাননি, যে আমি প্রশিক্ষণ শিবিরে থাকি। তবে এখানেই বিষয়টি শেষ নয়, আমি যেখানে জানানোর সেখানে বিষয়টি জানিয়েছি।’

 

আরো পড়ুন:BJP:বড় চক্রের পর্দা ফাঁস!বিজেপি নেত্রীর বাড়িতে মিলল চুরি হওয়া শিশু