সোমবার মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে দুর্নীতি ইস্যুতে বিরোধীদের চরম আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এরপরেই এক দীর্ঘ পোস্টে সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতাকে পাল্টা কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।
তিনি বলেন, “সমালোচনায় সারা দেশ যাদের গদ্দার, দুর্নীতিগ্রস্থ, তোলাবাজ বলে গালি দিচ্ছে, তারাই আজ অন্যদের গায়ে কালি ছেটাচ্ছে ‘গদ্দার’শব্দটি ব্যবহার করে।বেকারদের যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হবার পরেও মাসের পর মাস রাস্তায় নিজের চাকরির জন্য রাস্তায় বসে আন্দোলন ও অন্যদিকে সাদা খাতা জমা দিয়ে ১৫ লাখ টাকায় চাকরি দেবার এই গদ্দারি আপনাদের কাছেই দেশ শিখল। গদ্দারি করে অর্থ উপার্জন করে বিএমডব্লিউ বা মার্সিডিজ গাড়িতে ঘুরে বেড়ানো আপনারাই দেখালেন। দেশের সম্পদকে গদ্দারি করে পাচার করে নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করা আপনারাই দেখালেন। গোটা দেশ জানে কারা গদ্দারি করে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, দুবাই বা অন্যত্র টাকা মজুত করেছে।”
আরও লেখেন,”আমাদের সভা করার জন্য ৭০০০ নিরাপত্তা কর্মী প্রয়োজন হয়না। প্রতিরাতে যাদের গদ্দারির জন্য রাজ্যের হাজার হাজার বাড়িতে কান্নার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়, তারাই আজ অন্যদের গদ্দার বলে গালি দিচ্ছেন। লজ্জা লাগে গদ্দারি করে যারা হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রীট ও হরিশ মুখার্জী কয়েক বছরে প্লটের পর পর নামে বেনামে কিনল বা দখল করল, তারাই আজ সাধু সাজার চেষ্টা করছে। গত ৩ বছর আগে আমার সে সাধারণ দু কামরার বাড়ি ছিল, সেখানেই পরম আনন্দে ও নিশ্চিন্তে রাত কাটাই মা-বাবা সহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে। আজ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের একজন মানুষও আমার গদ্দারির কারণে চোখের জল ফেলে আমাকে অভিশাপ দেয় না।”
তিনি আরও বলেন, “সারা দেশ যখন স্বাধীনতার অমৃত মহোত্সবে মাতোয়ারা, আমরা নিজেরা হাজার হাজার জাতীয় পতাকা প্রতিটি বাড়িতে তোলার জন্য উত্সাহিত করেছি, তখন বিদেশে বসে ফেসবুকে জ্ঞানবুলি ভাষণ দেওয়া কতিপয় নেতাকে দেশ দেখেছে। এসব যদি আমার গদ্দারি হয়, তাহলে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বলছি , আপনার ক্ষমতা থাকলে আমার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ নিয়ে আসুন। তা প্রমাণ করে দেখান। আমার সবকিছু খোলা খাতার মতো দেখিয়ে দিতে পারবো। কিন্তু আমি নিশ্চিত আপনি তা পারবেন না। কাউকে গদ্দার বলার আগে ভেবেচিন্তে যে বলতে হয়, ক্ষমতার দম্ভে সেই বোধটাও আপনার হারিয়ে গেছে।”