৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক এর সাহায্যে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল নয়ডার টুইন টাওয়ার(Twin Tower)। কথা মতোই রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ একটিমাত্র বোতাম টিপে ধ্বংস করা হলো বেআইনিভাবে নির্মিত এই টুইন টাওয়ারটিকে। মাত্র নয় সেকেন্ডে ভেঙে গুঁড়িয়ে গেল ৪০ তলা উচ্চতার টুইন টাওয়ারটি। জানা নয়ডার এই টুইন টাওয়ারটি কুতুব মিনারের থেকে উঁচু অট্টালিকা ছিল।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরকের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ১০০ মিটার উচ্চতার অ্যাপেক্স ও ৯৭ মিটার উচ্চতার সিয়ানে নামক দুটি টাওয়ার। টুইন টাওয়ার দুটির মধ্যে ১৬ মিটার দূরত্ব থাকার কথা থাকলেও নির্মাণ সংস্থা টুইন টাওয়ার(Twin Tower) দুটির মধ্যে দূরত্ব রাখে ৯ মিটার। এছাড়াও আরও গুরুতর অভিযোগ ছিল নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে।
জানা যাচ্ছে সুপারটেক এমারেল্ড কোর্ট হাউসিং সোসাইটি ১৪ তলা অট্টালিকা তৈরি অনুমোদন দেয়। কিন্তু কথার খেলাপ করে নির্মাতা সংস্থা। নির্মাতা সংস্থা দাবি করে তাদের কাছে ৪০ তলা টাওয়ারের অনুমোদন রয়েছে। যদিও সেই দাবি মানতে চায়নি হাউসিং সোসাইটি। তাই ২০১২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করে হাউসিং সোসাইটি।
২০১৪ সালে হাউসিং সোসাইটির পক্ষেই রায় দেয় হাইকোর্ট। তখনই টুইন টাওয়ার(Twin Tower) ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন বিচারপতি। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টও একই নির্দেশ দেয়। রবিবার সকাল থেকে টুইন টাওয়ার ভাঙার আগেই প্রস্তুতি তুঙ্গে ছিল। টুইন টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা থেকে সমস্ত বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যায়। এছাড়াও বিস্ফোরণের আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় নয়ডা গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে।
টুইন টাওয়ারের ৪৫০ মিটারের মধ্যে সব রাস্তা বন্ধ রাখা হয় এবং ওই এলাকায় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এছাড়াও পাইপলাইনে এলাকায় গ্যাস সরবরাহের কাজ বন্ধ রাখা হয় সকাল থেকে। প্রশাসনের তরফে নিকটবর্তী হাসপাতালে ৫০ টি বেড বুক করে রাখা হয়।