বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে বাগদায় (Bagda) গৃহবধূকে ধর্ষণকাণ্ড ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। নানা মহলে নিন্দা, প্রতিবাদের ঝড়।এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেন, “ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে বাগদা সীমান্তবর্তী এলাকায়। বিএসএফ মহিলাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে। তিনি চিকিত্‍সাধীন। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন, ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস থেকে মহিলাদের নিরাপত্তার কথা মুখে বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বাস্তবে কী ঘটছে, সেটা দেখাই যাচ্ছে। মহিলাদের সম্মান নেই। নিরাপত্তা নেই।”

তবে সামগ্রিকভাবে তৃণমূল যে বিএসএফের বিরুদ্ধে নয় সেটা স্পষ্ট করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর কথায়, “তৃণমূল কংগ্রেস সামগ্রিকভাবে বিএসএফের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে ও অধীনে থাকা বিএসএফের জওয়ানরা যা ঘটলো, তাতে বলতেই হচ্ছে রক্ষকই ভক্ষক।”

এরপরই সুর চড়িয়ে কুণাল বলেন, “বিজেপি নিজেদের স্বার্থে বিএসএফকে ব্যবহার করছে। এই কু-কর্ম করার জন্যই কী সীমান্ত ১৫ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। এটা জোর করে করেছে। এটা রাজ্যের অধিকারে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু কর্ণপাত করেনি কেন্দ্র। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একজন মা তাঁর শিশুকে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই মায়ের কোল থেকে শিশুকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে গণধর্ষণ করছে। কোনও কৈফিয়ত নেয়নি। অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোর ১১ জন গণধর্ষণকারীকে গুজরাতের বিজেপি কারামুক্ত করল। ভয়ে গ্রাম ছাড়ছে মানুষ।”

কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) আরও বলেন, “বিএসএফের যাঁরা দক্ষ, যাঁরা ভালো কাজ করেন, তাঁদেরকে সীমান্তে রাখা হচ্ছে না। ভাল কাজ করা লোকগুলিকে তুলে এনে বিজেপির চারআনার নেতাদের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। মিছিলে হাঁটানো হচ্ছে। তাই সীমান্তের পাহারায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের দক্ষতা নিয়ে সমীক্ষা হওয়া উচিত। এরা সীমান্ত পাহারা দেবে নাকি ধর্ষণ করবে। শীতলকুচির ভুল থেকে শিক্ষা নেয়নি কেন্দ্র। কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে? কোনও তদন্ত করেছে শীতলকুচির নিয়ে ?

এরপরই কুণালের সংযোজন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আমরা অসম্মানের পক্ষে নেই। কিন্তু বিজেপি তাদেরকে নিয়ে শাখা সংগঠনের মতো ব্যবহার করছে। যে বিএসএফের কাজ পাচার আটকানোর, তারা ধর্ষণ করে বেড়াচ্ছে। পাচারের অভিযোগ আসলে তা রোখার দায়িত্ব বিএসএফের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আপনার বাহিনী ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাচ্ছে। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এখন বিজেপি সিকিউরিটি ফোর্স হয়েছে। বিএসএফ তাদের কর্তব্য পালন করবেন, মানুষ তাঁদের ভালোবাসবে। কিন্তু বিজেপির জন্য বিএসএফের অপকীর্তি বাড়ছে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। আগামিকাল, রবিবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দল বাগদায় যাবে। সেখানে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন হবে। সারা বাংলায় কেন্দ্রের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানাচ্ছে।”

 

আরো পড়ুন:BSF:এবার বিএসএফের দুই জওয়ানের বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ!