আদালত থেকে জেলে ফিরে কান্নায় (Arpita) ভেঙে পড়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়

মহিলা কারারক্ষীদের একাংশ জানিয়েছেন, সে দিন সহবন্দিদের সামনে

ছলছলে চোখে অর্পিতা একটা কথাই বার বার বলছিলেন, ”এ জীবনে আমার হয়তো আর জেলমুক্তি হবে না।

আজ তো আইনজীবী আমার জামিনের আবেদনও করলেন‌ না। ওঁরা বলছেন, এখন জামিন হওয়া অসম্ভব। আবেদন করেও লাভ নেই।”

কারারক্ষীদের একাংশের মতে, দিনদিনই মানসিক ভাবে আরও বেশি রকম বিপর্যস্ত দেখাচ্ছে অর্পিতাকে।

আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে রয়েছে প্রায় ৩০০ বর্গফুটের একটি হলঘর। আর তাতেই ১৯ জন বন্দির সঙ্গে রাখা হয়েছে অর্পিতাকে।

জেল সূত্রের খবর, কারাগারে অর্পিতার (Arpita) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই কারণে ২৪ ঘণ্টাই পালা করে এক জন মহিলা কারারক্ষী অর্পিতার সঙ্গে থাকেন।

সকালে-বিকেলে হলঘরের বাইরে বড় বারান্দায় একটু হাঁটেন অর্পিতা। নিরাপত্তার কারণে অন্য বন্দিদের মতো তাঁকে ওয়ার্ডের বাইরে যেতে দেওয়া হয় না।

শুধুমাত্র আইনজীবীরা এলে তাঁকে অফিসঘরে নিয়ে যাওয়া হয়।দিনরাত তাঁর উপরে নজরদারির নির্দেশও হয়েছে। নিরাপত্তার কারণেই অর্পিতাকে একা কোনও সেলে রাখা হয়নি।

একাধিক বন্দির সঙ্গে একটি ঘরে রাখা হয়েছে।ওই ৩০০ বর্গফুটের ঘরেই দিনে ও রাতে মাটিতে কম্বল বিছিয়ে শোয়ার ব্যবস্থা।

এমন ভ্যাপসা গরমেও ওই ঘরে সিলিং ফ্যান রয়েছে মাত্র তিনটি। সেই হাওয়াও ঠিক মতো পান না সকলে।

জেলে বসে পার্থকেই সারা দিন দোষারোপ করছেন অর্পিতা, জানালেন কারারক্ষী।