কোন নারী চায় না সুন্দর লম্বা আর ঘন চুল! কিন্তু বাস্তবে বদলে যাওয়া এই আবহাওয়া, পরিবেশের দূষণ, অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার কারণে চুল রুক্ষ শুষ্ক আর নির্জীব হয়ে যেন অভ্যাস দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু উপায় অবলম্বন করলেই পেতে পারেন সুন্দর এবং ঘন চুল। ভিটামিন ই তে আছে আন্টি অক্সিজেন যা আমাদের চুলের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করলেই আপনি পেতে পারেন স্বাস্থ্যকর চুল(Healthy hair)।

 

 

সপ্তাহে অন্তত একদিন আপনাকে প্রোটিন হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে হবে। একটি কাঁচা ডিমের সঙ্গে তিন চামচ টক দই(Yoghurt ), এক চামচ মধু, এক চামচ অ্যালোভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে দু ঘন্টার জন্য চুলে লাগিয়ে রেখে দিন। কাঁচা ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন যা চুলকে স্বাস্থ্যকর ও সিল্কি করে তোলে, টকদই যা চুলে পুষ্টিযোগান দেয়। মধুর মধ্যে রয়েছে আন্টি অক্সিডেন্ট যা চুলকে ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং অ্যালোভেরায় থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান যা চুলের রুক্ষতা দূর করে।

 

দ্রুত চুল লম্বা করার অব্যর্থ ওষুধ ডিম। ডিমে থাকে প্রোটিন, যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকের পুষ্টি বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। চুল ঘন করতে ডিমের জুরি মেলা ভার। ডিমের কুসুমের মধ্যে থাকা বায়োটিন চুলকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।এর জন্য ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে দই মিশিয়ে সেটি মাথায় ভালো করে লাগাতে হবে। আধাঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিলেই মিলবে সমাধান।

 

 

চুলের স্বাস্থ্যের(Healthy hair) জন্য বানিয়ে ফেলুন তুলসী(Tulsi ) পাতা দিয়ে আয়ুর্বেদিক তেল। চুল শক্ত করতে, চুল পড়া কমাতে ও চুলের অকালপক্ক রোধ করতে তুলসি পাতা খুব কার্যকরী।এই তেলের মিশ্রণটি তৈরির জন্য ১০-১২ টি তুলসি পাতা, আধা কাপ নারিকেল তেল ও ৪-৫ টি মেথি লাগবে। প্রথমে তুলসি পাতা বেটে পেস্ট তৈরি করতে হবে। অন্য একটি পাত্রে নারিকেল তেল গরম করে এতে তুলসি পেস্ট দিয়ে কিছুটা গরম হলে মেথি দিয়ে দিতে হবে। সকল উপাদান একসাথে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে ছেঁকে রেখে দিন সপ্তাহে দু থেকে তিন দিন শ্যাম্পু করার আগের দিন রাতে মাথায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করবেন।

 

 

রাত্রে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভাল করে অন্তত চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে (hair combing )শোওয়া দরকার৷ এতে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ভালো হয়৷ চুল পড়া কমে এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়। অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত এবং একাধিক পুষ্টিকর উপাদান চুলের গোড়ায় পৌঁছে গিয়ে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।চেষ্টা করবেন কাঠের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানো।

 

চুলের স্বাস্থ্যের (Healthy hair)জন্য সব থেকে বেশি যেটা দরকার সেটা হলো জল পান করা।সুস্থতার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পান করুন কারণ এটা ভীষণ জরুরি। শারীরিক যেকোনো সমস্যা দূরে রাখতে অনেকটা সাহায্য করে বিশুদ্ধ জল । প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পান করলে তা শরীরে পানির ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত উপাদান বা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে

 

Image source-google