প্রতিদিন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়ে কোনও না কোনও বিষয়ে মন্তব্য করে থাকেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর রাজ্যের সাংগঠনিক পদ এবং মন্ত্রীত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন দিলীপ ঘোষ।

শনিবার সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে তিনি বলেন, আসলে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাননি। তৃণমূলের দলের অন্দরে বিদ্রোহ শুরু হয়ে গিয়েছে, সেই কারণে মমতাকে বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে চাননি, সইও করেননি। সেই কারণেই পার্থকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিতে সাতদিন সময় লেগেছে। এত দিন সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগার পিছনেই আসল রহস্য লুকিয়ে আছে বলে ইঙ্গিত করেছেন দিলীপ।

এর সঙ্গেই দিলীপের মোক্ষম প্রশ্ন, পাশে বসে এরকম ডাকাতি হচ্ছে অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেই না? দিলীপের সংযোজন, বিপদের দিনে যেভাবে পার্থর পাশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরে গেলেন তাতে আর কেউ তাঁর উপর ভরসা করবেন না।

এদিন তিনি আরো বলেন, এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলার দিন শেষ হয়ে এসেছে। ভয় দেখানো, চমকানো, ধমকানোর দিন এখন শেষ। এখন মানুষ বলবে যা বলার, ইডি বলবে, বাকিটা আদালত বলবে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকের পরই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানিয়ে দেন, দলের সব পদ থেকে সরানো হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ওই দিনই মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর জানিয়ে দেওয়া হয়, আর মন্ত্রী থাকছেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।

 

আরো পড়ুন:Dilip Ghosh : স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়ে তোপ দিলীপ ঘোষের