স্ন্যাচিং বিভাগের শেষে শীর্ষে ছিলেন মীরাবাই চানু (Mirabai Chanu)। ৮৮ কিলো তুলে গেমস রেকর্ড গড়েন চানু। এটি তাঁর ব্যক্তিগত রেকর্ডও। গত বছর টোকিয়ো অলিম্পিক্সে রুপো পেয়েছিলেন চানু। তাঁর ম্যাচের আগের দিন বিকেলের দিকে ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা শুরু হয়। পদক জয়ের লড়াইয়ে নামার আগে তাই অনুশীলনের যে পরিকল্পনা ছিল, তা ভেস্তে যায়। প্রশিক্ষক বিজয় শর্মাকে ‘প্ল্যান বি’ ভেবে ফেলতে হয় সঙ্গে সঙ্গে। চানু যে লড়াইয়ে অভ্যস্ত তা ভালোই জানে দেশবাসী।

২০১৬-র রিয়ো অলিম্পিক্সেও নেমেছিলেন চানু (Mirabai Chanu)। ইভেন্টের শেষে তাঁর নামের পাশে লেখা ছিল ‘ডিএনএফ’, অর্থাৎ ‘ডিড নট ফিনিশ’। বাংলায় যার অর্থ, সেই ইভেন্ট শেষ করতেই পারেননি চানু। চোখের জলে বিদায় নিতে হয়েছিল জীবনের প্রথম অলিম্পিক্স থেকে। ওই ইভেন্টের পর মারাত্মক চোট পান চানু। কোমরের সেই চোটে একসময় কেরিয়ারই শেষ হয়ে যেতে বসেছিল। মানসিক ভাবেও তিনি প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছিলেন। শরণাপন্ন হয়েছিলেন মনোবিদের।

আরও পড়ুন: Rohit Sharma: টি-টোয়েন্টিতে নতুন নজির রোহিতের, টপকে গেলেন কোহলীকে

পাঁচ বছর পরে চানু (Mirabai Chanu) ফের অলিম্পিক্সে নামলেন। এ বার চোখে জল নয়, মুখে শুধুই অমলিন হাসি। মণিপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের সাইখোম মীরাবাই চানুর হাত ধরে টোকিয়ো অলিম্পিক্সে খাতা খুলেছিল ভারত।