মঙ্গলবার ফের ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন (Sonia Gandhi) কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি। দ্বিতীয় বার ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় এদিন হাজিরা দিলেন সনিয়া।
দিল্লিতে ইডি-র দফতরে পৌঁছন তিনি। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছেলে রাহুল এবং মেয়ে প্রিয়াঙ্কা। আজ, ফের কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিক্ষোভের আশঙ্কায় ইডি দফতরের বাইরে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে।
এদিন, কংগ্রেস সাংসদরা সংসদ ভবন চত্বরে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেছেন বলে জানা গিয়েছে।
রাজঘাটে তাঁদের প্রতিবাদ কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি। একইসঙ্গে দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর কার্যালয়ের সামনেও বিক্ষোভ দেখাবেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।
কংগ্রেসের আশা, এই প্রতিবাদে অন্য বিরোধী দলগুলিও সমর্থন জানাবে।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভানেত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
বছর ৭৫-এর কংগ্রেস সভানেত্রীকে (Sonia Gandhi) দু’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির কর্তারা। এরপরই সরব হয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের সঙ্গে সুর মেলায় অন্যান্য বিরোধী দলও।
যৌথ বিবৃতিতে বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, ‘মোদী সরকার তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে অপব্যবহার করছে।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং সমালোচকদের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে।’
গত সপ্তাহে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য ৩৪৯ জন কংগ্রেস কর্মীকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তাঁরা পার্টি অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন।
তাঁদের মধ্যে শশী থারুর, অশোক গেহলট, শচীন পাইলট, পবন খেরা এবং রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার মতো শীর্ষ নেতারাও ছিলেন।
গত ২০১৩ সালে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় প্রতারণা এবং তহবিল তছরূপের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।