রবিবার অর্থাৎ ২৪ জুলাই রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের শেষ দিন ছিল।সেইমতো বিদায় বেলায় জাতির উদ্দেশে ঠিক সন্ধ্যা ৭টায় ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।বিদায় বেলায় রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind) জানালেন, দেশবাসীর কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। তার মতে, এর শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা ভারতীয় সংস্কৃতির বিশেষত্ব।বলেন, ‘রামনাথ কোবিন্দ কানপুর দেহাত জেলার পারউনখ গ্রামে এক অতি সাধারণ পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। তিনি আজ আপনাদের, সকল দেশবাসীকে সম্বোধন করছেন, এর জন্য আমি আমাদের দেশের প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার শক্তিকে প্রণাম জানাই।’

 

দেশের সমস্ত নাগরিক ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রতি তাঁর ‘গভীর কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি তাঁর মেয়াদকালে সমাজের সর্বস্তরের থেকে পূর্ণ সহযোগিতা, সমর্থন এবং আশীর্বাদ পেয়েছেন।

 

তাঁর কার্যকালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজের গ্রামে সফরের কথা স্মরণ করেন রামনাথ কোবিন্দ। কানপুরের যে স্কুলে তিনি পড়তেন, সেই স্কুলের শিক্ষকদের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিয়েছিলেন এবং তাঁদের বলেছিলেন যে এটি তাঁর জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহুর্তগুলোর একটি হয়ে থাকবে। আবেগের সুরে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতির বিশেষত্ব। আমি তরুণ প্রজন্মকে তাঁদের গ্রাম, শহর এবং তাঁদের স্কুল এবং শিক্ষকদের সঙ্গে যুক্ত থাকার ঐতিহ্যকে অব্যাহত রাখতে অনুরোধ করব।’

 

বিদায়ী ভাষণে দেশের মনীষীদের অবদানকেও স্মরণ করেন কোবিন্দ। তিনি বলেন, ‘তিলক এবং গোখলে থেকে ভগত্‍ সিং, নেতাজি, জওহরলাল নেহেরু, সর্দার প্যাটেল, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, সরোজিনী নাইডু, কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়- মানবজাতির ইতিহাসে এত মহান মানসিকতার সমন্বয় অন্য কোথাও ঘটেনি। ঊনবিংশ শতাব্দীতে দেশে অনেক বিদ্রোহ হয়েছিল। নতুন ভোরের আশা তৈরি করা সেই নায়কদের অনেকের নামই দেশের অনেক আগেই ভুলে গেছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবদানকে সাম্প্রতিক সময়ে তুলে ধরা হয়েছে।’

 

মূলত ১৯৯৪ সালে রাজনীতিতে প্রথম পা রাখেন এই দলিত নেতা। ভারতের ১৪ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই শপথগ্রহণ করেন কোবিন্দ। ২০০৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ১২ বছর পরপর দু’টি দায়িত্ব পালন করেন। তারপর ২০১৫-২০১৭ সালে বিহারের রাজ্যপাল। প্রায় ১৬ বছর দিল্লি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে অনুশীলন করেছেন রামনাথ কোবিন্দ।

 

আরো পড়ুন:Droupadi Murmu:ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হলেন দ্রৌপদী মুর্মু!