সকাল থেকেই ফের উত্তপ্ত ভাটপাড়া (Bhatpara)।রবিবার সকালেও জগদ্দল বাজার চত্বরে বোমাবাজির অভিযোগ।কয়েকজন ব্যবসায়ী দোকান খুলতেই হুমকির মুখে পড়তে হয় নাকি তাঁদের।ঠিক কি ঘটেছিল এদিন?

 

অভিযোগ,সকালে বাজার খোলার পরই কয়েকজন যুবক এসে ফের বাজার বন্ধ করিয়ে দেয়। বলে, রিজওয়ান খুনে মূল অভিযুক্ত গণেশকে যতক্ষণ না গ্রেপ্তার করা হবে ততক্ষণ এই বাজার বন্ধ রাখতে হবে। জোর করে বাজার বন্ধ, হুমকির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা রাস্তা অবরোধ করেন। তাঁরাও দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হন।এমন ঘটনার খবর পেয়েই এলাকা পরিদর্শন করেন সাংসদ অর্জুন সিং ও পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর।

 

সাধারণ মানুষের মনে সাহস জোগাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাংসদের কথায়, “দোকান খুলে ব্যবসা চালু করুন। সাধারণ মানুষ দোকানে আসলেই দুষ্কৃতীরা খানিকটা হলেও ভয় পাবেন।”তিনি আরো বলেন, “বোমা মেরে-মেরে বাজার লুটের চেষ্টা হচ্ছে। একজন খুন হয়েছে। একজন ধরা পড়েছে। তবে মামলাকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি পুলিশকে বলেছি যেখানে ঝামেলা হচ্ছে সেই জায়গা আপনারা কন্ট্রোল করুন।”

 

এদিকে জগদ্দলের রুস্তম গুমটি এলাকায় মহম্মদ টিঙ্কু ওরফে রিজওয়ান আলি খুনে গ্রেপ্তার হল এক দুষ্কৃতী।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,ধৃতের নাম রিয়াজউদ্দিন আনসারি,ওরফে কালুয়া।ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর জানিয়েছেন,এই ঘটনায় যারা যারা যুক্ত ছিলেন তাদের লিস্ট পুলিশের কাছে এসেছে।এর মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বাকি লোকদের আইডেন্টিফাই করা হয়েছে।খুব তাড়াতাড়ি এই ঘটনার অপরাধীদের ধরতে পারবেন বলে এদিন তিনি জানিয়েছেন।রবিবারই অভিযুক্ত কালুয়াকে ব্যারাকপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।মূলত সেই ২০১৯ এ ভাটপাড়ায় শুরু হয়েছে দুষ্কৃতী হামলা।এখনো শেষ হওয়ার নাম নেই।তাই স্বাভাবিকভাবেই এখন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

 

আরো পড়ুন:Nabanna:চতুর্থ ঢেউ রুখতে,নবান্নে জরুরি বৈঠক রাজ্যের মুখ্যসচিবের!