শুক্রবার নবনির্মিত রণতরীর উদ্বোধন করলেন (Rajnath Singh)প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

প্রতিরক্ষায় আরও একধাপ এগোল ভারতের নৌবাহিনী। সৌজন্যে শহর কলকাতা। এ শহরের বুকে অবস্থিত গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সে তৈরি হল

ভারতীয় নৌসেনার আধুনিকতম ছোট রণতরী বা ফ্রিগেট। যার পোশাকি নাম ‘আইএনএস দুনাগিরি’। হুগলি নদীর জলে নেমে পড়ল ‘স্টেলথ ফ্রিগেট’।

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে INS দুনাগিরির অর্থাত্‍ স্টেলথ ফ্রিগেট গোত্রের রণতরীর যুক্ত হওয়ার এই যাত্রাপথ কিন্তু বেশ দীর্ঘ। চলতি বছরের মে মাসে ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে এসেছিল পি-১৭এ শ্রেণির ‘স্টেলথ ফ্রিগেট’ আইএনএস-উদয়গিরি।

ভারতীয় নৌবাহিনীর ‘ডিরেক্টরেট অফ ন্যাভাল ডিজাইন’ (DND)-এর নকশায় তৈরি ওই যুদ্ধজাহাজটি তৈরি করেছিল মুম্বইয়ের ‘মাঝগাঁও ডক ইয়ার্ড’।

এবার আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত রণতরীটি দায়িত্ব নিয়ে তৈরি করল গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স।

এই যুদ্ধজাহাজটির সঙ্গে ‘মেঘনাদে’র তুলনা করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এর বৈশিষ্ট্য –

রামায়ণে বর্ণিত মেঘনাদ যেমন মেঘের আড়াল থেকে যুদ্ধ চালাত, তেমনই জলের গভীরে থেকে INS দুনাগিরিও শত্রুপক্ষের উপর আঘাত হানতে সক্ষম। রাডারে (Radar) ধরা পড়বে না তার গতিবিধি। সে অর্থে প্রকৃত মেঘনাদের মতোই কাজ করবে এই যুদ্ধজাহাজটি।

অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র থাকায় নিশানা অব্যর্থ হবে বলেই আশা করছেন ওয়াকিবহাল মহল। নবনির্মিত রণতরীর ওজন ৬৬০০ টন।

এর আগে গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সে তৈরি হয়েছে রণতরী আইএনএস হিমগিরি (INS Himgiri)। ২০১৭ সাল থেকে দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই জোরকদমে তা নির্মাণ শুরু করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী, আধিকারিকরা।

১৯,২৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেই কাজ শেষ হয় ২০২০ সালে। ডিসেম্বরে কলকাতায় এসে তার উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন প্রয়াত সেনা সমরাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত (CDS Bipin Rawat)।

সেবার নাম না করে শত্রুদেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করে দেশের প্রতিরক্ষায় শক্তিবৃদ্ধির কথা বলেছিলেন। ঠিক ২ বছর পর গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স উপহর দিল আইএনএস-দুনাগিরি।

গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সে তৈরি হয়েছে পি-১৭ গোত্রের রণতরী।
উদ্বোধন করে গেলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।