তুলসি পাতা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তা সকলেই জানি। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় অধিকাংশ সময়ই তুলসি রাখা হয়। তুলসি এমন একটি উপাদান যা প্রায় সকল রোগেই ওষুধের কাজ করে। সর্দি-কাশি-ঠাণ্ডা জ্বর থেকে শুরু করে আরও ছোট ছোট বিভিন্ন অসুখে অনেক উপকারে আসে। নিয়মিত তুলসি খাওয়ায় সংক্রমণ প্রতিরোধ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, কিডনিতে পাথর হওয়ার মতো সমস্যা থেকে বাঁচায়। এছাড়াও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী তুলসি পাতা। এবার তাহলে ত্বকের যত্নে তুলসির পাঁচটি ফেসপ্যাক তুলে ধরা হলো-

তুলসি পাতা ও চন্দনের ব্যবহার : তুলসি পাতার পেস্ট(skincare with tulshi), গোলাপ জল ও চন্দন গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে কোনও সমস্যা না থাকলেও নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বকের পুষ্টি গুণাগুণ পূরণ হবে।

বয়সকে ধরে রাখতে : কয়েকটা তুলসি পাতা ধুয়ে নিয়ে বেটে পেস্ট করে নিন। এবার তা দশ মিনিটের মতো মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তুলসি পাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে টানটান ভাব, সতেজ ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।

ত্বক উজ্জ্বল করতে : কয়েকটি তুলসি পাতা বেটে নিয়ে তাতে অল্প পরিমাণ দুধ মেশান। এবার পেস্ট করে গোটা মুখে লাগিয়ে প্রায় ২০ মিনিটের মতো রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন।

চুলকানি প্রতিরোধে : গ্রীষ্মকালে অনেকের ত্বকেই র‌্যাশ, চুলকানি ও ঘামাচির মতো সমস্যা দেখা দেয়। যারা এসব সমস্যায় ভুগেন তাদের তুলসি পাতার পেস্টের সঙ্গে অল্প একটু লেবুর রস মিশিয়ে চিহ্নিত স্থানে লাগিয়ে রাখলে কার্যকরী উপকার পাওয়া যায়।

ব্রণ কমাতে : কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে তা গুঁড়ো করে নিন। এবার এই গুঁড়োর সঙ্গে তুলসি পাতার পেস্ট(skincare with tulshi) মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে আধ ঘণ্টার মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে তিন কি চারদিন ব্যবহার করতে থাকুন। নিজেই ফলাফল বুঝতে পারবেন। এছাড়াও তুলসি পাতা ধুয়ে বেটে তার সঙ্গে চন্দন বাটা, হালকা লেবুর রস ও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে লাগানোর ফলে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

 

Image source : google