ফের রাজ্য সরকারকে একেরপর এক বিষয়ে কটাক্ষ করল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।সোমবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাঁচিল টপকে ব্যক্তি প্রবেশের ঘটনা প্রসঙ্গে তীব্র কটাক্ষ করে,তিনি বলেন,কালীঘাটের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে সব পুলিশ লাগিয়ে দেওয়া হয় অথচ রাজ্যে নিরাপত্তা পাওয়া যায় না। আমাদের অনুষ্ঠানে পুলিশ পাওয়া যায় না কিন্তু আমি জানিনা কি করে ঢুকলো, একটা লোক ঢুকে গেছে তার জন্য এতো হৈ হৈ পড়ে গেছে। মনে হচ্ছে আরডিএক্স ঢুকিয়ে দিয়েছে।

 

নন্দীগ্রামে কেন্দ্রীয় প্রকল্প দেখতে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল আসা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, আমরা জানি এটা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে আমরা অভিযোগ করেছি যে কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্পের নাম পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র সরকার দেখে টাকা পয়সা দেয় তাই জন্য চাপ দিয়েছে সব জায়গায় স্টিকার লাগানো হয়েছে শুধু টাকা নেওয়ার জন্য।’ মমতার বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন ‘সবকিছু চুরি করা অভ্যাস হয়ে গেছে সব জায়গায় দু নম্বরি করা হচ্ছে চাপা দিয়ে দিয়ে তারপর কিছুদিন পরে স্টিকার তুলে দেবে।

 

এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন ‘এর আগেও আমরা দেখেছি টিভিতে পুরনো নামের ওপরে স্টিকার লাগাচ্ছে জেলা পরিষদের তরফ থেকে। কাজের কোন স্থায়িত্ব নেই জায়গায় জায়গায় সেতু ভেঙে পড়ছে। নতুন তৈরি হওয়া সেতু অনেক কিছু এতো দু নম্বরী চলছে কন্ট্রাক্টারদের পয়সা দেওয়া হচ্ছে না তারা যা হোক করে করে দিচ্ছে সিমেন্টের জায়গা বালি দিচ্ছে।’

 

কলকাতায় সাত থেকে আট দিনের মধ্যে বিদ্যুত্‍পৃষ্ট হয় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

এই ধরনের যখন ইলেকট্রিক শক খেয়ে কেউ মারা যায় তখন বিরোধীরা বা সংবাদ মাধ্যম হই হই করে তারপরে তদন্ত করা হচ্ছে বা দেখা হচ্ছে বলে চেপে দেওয়া হয়। গত বছর তার আগের বছর বৃষ্টি হলে এটা শুরু হয় পোস্টে বা খোলা তারে কেউ না কেউ বিদ্যুত্‍পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এবারে যা ঘটনা ঘটেছে খুব দুঃখজনক ঘটনা সরকার তাই মমতা সরকার বিবৃতি দিয়ে নিজের দায়িত্ব শেষ করছে। তিনি আরও জানান,এই ধরনের ঘটনা যখন হচ্ছে সরকারি কর্মচারীরা কি করেন হাজার লোক যাচ্ছে বলেও যায় না। যখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায় হই হই হয় তার কিছুদিন পর চাপা পড়ে যায় সরকারের কোন ব্যাপারে মাথা ঘামানোর মত মানসিকতা চলে গেছে কর্মচারীরাও আজ আর কাজ করতে চান না তাদেরকে রাজনৈতিক কাজ করিয়ে করানো হয়। কোথাও দুয়ারে সরকার, কোথাও লক্ষীর ভান্ডার করতে গিয়ে তাদের নিয়মিত যা কাজ তারা আর করতে পারছেন না।

 

রাজ্যে পরপর শুট আউটের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেদিন খড়্গপুরে হয়েছে সেটা এখন এখানকার ফ্যাশন হয়ে গেছে। একসময় বিহার উত্তর প্রদেশ ১০-১৫ বছর আগে যেমন ছিল বাংলার সেই অবস্থা হয়েছে। পশ্চিমবাংলার আইন শৃঙ্খলা এত নিচে নেমে গেছে আর অপরাধীদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জন্য তৃণমূল এত দুঃসাহসী হয়ে গেছে যে আইন কানুন মানে না। কোন ভয় ভীতি নেই তাদের মধ্যে সাধারণ মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ, পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ উল্টে ধমকে দেয় রিপোর্ট লেখে না।

 

আরো পড়ুন:Dilip Ghosh:’তৃণমূলের কত জন নেতা নেত্রী চাকরি পেয়েছেন,তার তালিকা আছে’ দাবি দিলীপ ঘোষের!