চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভের অনুমতি (Permission To Protest) দিয়েই সিটি অফ জয়কে, সিটি অফ ডেমনস্ট্রেশন বলেই তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন বিচারপতি শম্পা সরকার।এ শহরের ভবিষ্যত কী?সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এদিন বিচারপতি।
মূলত,শহরের বুকে যেন বিক্ষোভ থামছেই না।একের পর এক জায়গায় বিক্ষোভের সমাবেশ লেগেই রয়েছে।আর দেশের একের পর এক বিক্ষোভের মাঝেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির বিক্ষোভ যেন হেলিয়ে দিয়েছিল গোটা দেশবাসীকে। টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের।একের পর এক বিক্ষোভ সমাবেশ।আর সেইখানে পথের কাঁটা পুলিশ।এমন অবস্থায় আদালতে দ্বারস্থ হন শম্পা বিশ্বাস-সহ ১৪২ জন।তাদের দাবি ছিল, রানি রাসমণি, মেট্রো চ্যানেল অথবা মাতঙ্গিনী মূর্তির পাদদেশ, শহরের এই তিন জায়গার মধ্যে যেকোনও একটি জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেওয়া হোক।
আজ ছিল সেই মামলার শুনানি।শুনানি চলাকালীনই যেকোনো বিষয় নিয়ে বিক্ষোভ করার বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি।কড়া ভাষায় তিনি বলেন, “আজকাল শহরে সবাই অবরোধ করতে চায়। শহর সিটি অফ জয়ের বদলে সিটি অফ অবস্থা ডেমনস্ট্রেশন হচ্ছে। এটা মানা যায় না।”
এদিন তিনি আরও বলেন, “এভাবে কি চাকরি পাওয়া যায়? হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। বিষয়টি সেখানে সমাধান হবে। এভাবে বিক্ষোভ করে কী লাভ?” যদিও পরে চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি। বলা হয়েছে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে তাঁরা অবস্থানে বসতে পারবেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে সেই অবস্থান বিক্ষোভ।তবে শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি।
আরো পড়ুন:SSC:এসএসসির নিয়োগে দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ চাকরি প্রার্থীদের