জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে মালদহের (Malda) মানিকচক থানার গোপালপুর বালুপুর এলাকায় গত ২৮ মে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বাঁধে। সেখানেই দ্বন্দ্ব থামাতে সার্ভিস রিভলভার নিয়ে টহলদারির সময় নেতাদের কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে মানিকচক থানার এসআই সমীর সাহার বিরুদ্ধে। এরপরেই পুলিশ সুপারের নির্দেশে ক্লোজড করা হল তাঁকে।

 

স্থানীয় সূত্রে খবর, জমি নিয়ে শেখ শরিফ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদ বাধে নাসি নামের এক ব্যক্তির। সেই বিবাদকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বেশকিছু বাড়িতে ভাঙচুর চলে। পড়ে থাকতে দেখা যায় অসংখ্য গুলির খোলও। আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে চলে যান স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই। সেদিন সংঘর্ষ থামাতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যান মানিকচক থানার ওই এসআই সমীর সাহাও। আর অভিযোগ, মুড়ি-মুড়কির মতো তখন বোমাবাজি হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। সেই সময় ঘটনাস্থলে হাতে অস্ত্র নিয়ে এই সাব ইন্সপেক্টরকে দেখা যায় রাগী মেজাজে। ছবি ভাইরাল হয়ে পড়ে মুহূর্তে। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের উদ্দেশে কটূক্তি করতেও শোনা যায় তাঁকে। এরপরই ওই এসআই-কে ক্লোজ করা হয়।

 

বিজেপির দক্ষিণ মালদা (Malda) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন,’এই পুলিশ আধিকারিক সেখানে তাঁর কর্তব্য পালন করতে গিয়েছিলেন। যেহেতু এটা শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল, সেই কারণে একে ক্লোজ করা হয়েছে।’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,’বর্তমানে এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে সত্যি কথা বলবে তা সে পুলিশ আধিকারিক হোক, সাধারণ মানুষ হোক, বিরোধী দলের নেতা নেত্রী হোক, তাদেরকে ক্লোজ করে দেওয়া হবে। যাঁরা চাকরি করেন তাঁদের সরকারি ভাবে ক্লোজ করবে। যাঁরা চাকরি করেন না তাঁদের বাড়িতে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হবে।’

 

তৃণমূলের মালদা (Malda) জেলার মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ‘পুলিশ সুপার যা কাজ করেছেন সেটা সময়োপযোগী। এটা তদন্ত সাপেক্ষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তার সঙ্গে এটা সামঞ্জস্য। তবে ওই পুলিশ আধিকারিকের কোনও ত্রুটি রয়েছে। যার ফলে এসপি মনে করেছেন তাঁকে শাস্তি দিতে হবে। এটা সাহসী সিদ্ধান্ত।’তৃণমূল জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সির কথায়, ‘এটা রাজনীতির কোনও বিষয় নয়। পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ করেছে।’

 

আরো পড়ুন:Malda:তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে অপহৃত এক তৃণমূল কর্মী