করোনায় মাতৃ-পিতৃহারা শিশুদের সাহায্যার্থে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।

সোমবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পিএম কেয়ারস কর্মসূচিতে শিশুদের সুবিধা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনার সময় যে সমস্ত শিশুরা বাবা-মাকে হারিয়েছেন এবার সেই সমস্ত শিশুরা উপকৃত হবেন এই সুবিধার ফলে। প্রধানমন্ত্রী এদিন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়ার পাশাপাশি পাসবুক ও আয়ুষ্মান ভারতের অধীনে স্বাস্থ্য কার্ড তুলে দিয়েছেন শিশুদের হাতে।এমনকি অনাথ শিশুদের সঙ্গে কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

 

প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, আপনাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে শিশুদের সঙ্গে কথা বলছি। আমি আজ শিশুদের মাঝে থাকতে পেরে খুব স্বস্তি অনুভব করছি। পিএম কেয়ারস ফর চিলড্রেন এই সত্যের প্রতিফলন যে প্রতিটি দেশবাসী অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গে আপনাদের পাশে রয়েছে। শিশুদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনও প্রচেষ্টা অথবা সহায়তা আপনাদের পিতা-মাতার স্নেহের স্থান নিতে পারবে না। তাদের অনুপস্থিতিতে ‘ধরিত্রী মা’ আপনার সঙ্গে আছে। ভারত পিএম কেয়ারসের মাধ্যমে তা পূরণ করছে। এটি শুধুমাত্র একটি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান অথবা সরকারের একটি নিছক প্রচেষ্টা নয়।

 

প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেছেন, শিশুদেরও ‘পিএম কেয়ারস ফর চিলড্রেন’-এর মাধ্যমে আয়ুষ্মান স্বাস্থ্য কার্ড দেওয়া হচ্ছে, এর ফলে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যের চিকিত্‍সার সুবিধাও পাওয়া যাবে। শিশুদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের আবেগ আপনাদের সঙ্গে আছে। এছাড়াও আপনার স্বপ্ন পূরণে গোটা দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে। কারও যদি প্রফেশনাল কোর্সের জন্য, উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষা ঋণের প্রয়োজন হয়, তাহলে পিএম কেয়ারস সাহায্য করবে। অন্যান্য দৈনন্দিন প্রয়োজনের জন্য, প্রতি মাসে ৪ হাজার টাকার অন্যান্য স্কিমের মাধ্যমে তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সমস্ত শিশুরা যখন তাদের স্কুলের পড়াশোনা শেষ করবে, তখন ভবিষ্যতের স্বপ্নের জন্য আরও অর্থের প্রয়োজন হবে। এ জন্য ১৮-২৩ বছরের যুবক-যুবতীরা প্রতি মাসে স্টাইপেন্ড পাবেন এবং আপনাদের বয়স ২৩ বছর হলে একসঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা পাবেন।

 

প্রসঙ্গত, ল্যানসেটের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে প্রথমে যদিওবা কেন্দ্রের তথ্যের বিস্তর ফারাক ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এনসিপিসাআর-এর সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী ভারতে এক লাখেরও বেশি শিশু অনাথ হয়েছে। অন্যদিকে দেশে নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা। ওমিক্রন-এর দুটি ভ্যারিয়েন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭০৬ জন। একদিনে প্রাণ গিয়েছে ২৫ জনের। সব মিলিয়ে আবার চিন্তা বাড়ছে আমজনতার।এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছে সকলে।

 

আরো পড়ুন:Kedarnath : কেদারনাথে পোষ্যকে নিয়ে যাওয়া ব্লগারের চিঠি মোদীকে