নাম না করে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়কে নিশানা (Dhankar) রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়েরজগদীপ ধনকড়ের।
‘একজন সাংসদ সব সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন।’ শনিবার হলদিয়ার সভায় বিচার ব্যবস্থার একাংশকে অভিষেকের আক্রমণ ইস্যুতে বেজায় ক্ষুব্ধ
রাজ্যপাল ধনকড়। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এব্যাপারে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করতেও নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল।
গতকাল হলদিয়ার সভায় বিচার ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেকের সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এদিন কারও নাম না করে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
জগদীপ ধনকড় বলেন, ‘একজন সাংসদ সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন।
বিচার ব্যবস্থাকে আক্রমণ করাটা বিপজ্জনক প্রবণতা। মুখ্যসচিবকে পদক্ষেপ করতে বলেছি।’
সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে একের পর এক রায় দিয়েছে আদালত।
এসএসসি থেকে শুরু করে কাউন্সিলর খুন, বগটুইয়ে বাড়ি জ্বালিয়ে
খুন-সহ বেশ কিছু মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যা নিয়ে অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্যের।
একের পর তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী ফি দিন যাচ্ছেন সিবিআই অফিসে হাজিরা দিতে।
কয়লা, গরু পাচার কাণ্ডে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতার নাম।
খোদ অভিষেক বন্দ্যোপধ্যায়কেই কয়লা পাচার কাণ্ডে দিল্লিতে দু’বার ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি।
শনিবার নজিরবিহীনভাবে বিচার ব্যবস্থাকে নিশানা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিচারপতিদের দু-একজনের বিরুদ্ধে যোগসাজশ ও তল্পিবাহক হওয়ার মতোও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
অভিষেক বলেন, ‘আমার বলতেও লজ্জা লাগে, বিচারব্যবস্থায় একজন দু’জন এমন আছেন যাঁরা যোগসাজশে কাজ করছেন তল্পিবাহক হিসেবে।
কিছু হলেই সিবিআই দিয়ে দিচ্ছে। মার্ডার কেসে স্টে দিয়ে দিচ্ছে, ভাবতে পারেন! আপনি অভিযুক্তকে নিরাপত্তা দিতে পারেন। কিন্তু মামলায় স্টে দিতে পারেন না।’
অভিষেকের গতকালের মন্তব্য বিপজ্জনক প্রবণতা বলে এদিন মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল (Dhankar) জগদীপ ধনকড়।