এবার ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন’-এর বিষয় খতিয়ে দেখতে এসএসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্তে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ ইডি (ED)।
শুক্রবার দিল্লি থেকে কলকাতার সিবিআই দফতরে মেইল করে ইডি। সেই মেইলেই তদন্ত সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠায় তারা। সূত্রের খবর, এই মামলার প্রাথমিক তদন্তের কাজ শুরু করে দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর।
উল্লেখ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাধিক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। অভিযোগ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সির প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও ৩০০ এর বেশী স্পারিশপত্র ছাপানো হয়েছে। অভিযোগের তীর এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শান্তিপ্রসাদ সিনহার নির্দেশে এই কাজ করেছেন প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিত্ আচার্য।স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেন, শিকড় বের করবে ইডি (ED)।
সম্প্রতি তদন্তে নেমে বাগ কমিটির হাতে একটি বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে। ৭ জন প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল বাগ কমিটি। এর মধ্যে ৫ জনের নিয়োগপত্র নাম ছিল না বলে জানা গেছে। এমনকি তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছে, সে সম্পর্কে কোনও তথ্যই ছিল না। সেখান থেকেই দুর্নীতির ছবি আরও স্পষ্ট হয়েছে। সিবিআই শুরু থেকেই বারবার সন্দেহ প্রকাশ করছিল নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এমনকি আদালতের পর্যবেক্ষনেও বিষয়টি উঠে আসতেই তদন্তে নামছে ইডি (ED)।
মূলত সিবিআই দফতরে ইডি চিঠি দিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি চেয়েছে ইতিমধ্যেই। এসএসসি মামলায় যে ৪টি এফআইআর করা হয়েছে, তার কপি চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত তদন্ত সংক্রান্ত যে তথ্য উঠে এসেছে তা রিপোর্ট আকারে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় যাবতীয় নথি চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ইডি অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছেন, এসএসসি মামলায় কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই টাকা কোথায় পৌঁছল? সিবিআই সূত্রে খবর, দু-একদিনের মধ্যেই সব নথি দেওয়া হবে ইডিকে। কীভাবে এই মামলার রুজু করা হবে? কীভাবে এই মামলার তদন্তে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে? তা সিদ্ধান্ত নেবে ইডি (ED)।
আরো পড়ুন:SSC:এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভের চেষ্টা