আমরা নিজেদের সৌন্দর্য বজায় রাখতে কিনা করি। কখনো পার্লারে গিয়ে হাজার হাজার টাকা কিংবা কখনো দামি দামি কসমেটিকস ব্যবহার করি। কিন্ত আরে এসব না করে ফেসিয়াল ( Facial)করুন বাড়িতেই । রইলো কিছু টিপস।

 

ফেসিয়াল( Facial)করার জন্য সবার প্রথমে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। যে কোন মাইন্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখটা ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। কিংবা মুখ পরিষ্কার করতে ব্যবহার করতে পারেন হলুদ। হলুদ আর কাঁচা দুধ মিক্স করে হালকা মুখে ম্যাসাজ করুন এবং মুখ ধুয়ে নিন। এতে মুখের ময়লা দূর হবে।

 

দ্বিতীয় ধাপ হলো ত্বকের মৃত কোষ দূর করা।ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে লেবুর রস। এদিকে নারিকেল তেল ও দই ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। কফির সঙ্গে এই তিন উপাদানের মিশ্রণে স্ক্রাব তৈরি করে তা ব্যবহার করলে ত্বক হবে আরও নরম ও মসৃণ। দুই টেবিল চামচ কফি, আধা কাপ দই, এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল, হাফ লেবুর রস বাটিতে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এটি মুখ স্ক্রাব করার জন্য ব্যবহার করুন।

 

তৃতীয় ধাপ হলো মুখে স্টিম নেওয়া । এটিই এক্সফোলিয়েশন এর কাজ করে।অনেক সময় আমাদের ত্বক শুষ্ক আর নির্জীব দেখায় যার মূল কারণ ত্বকের ওই অংশে ঠিকমতো রক্তসংবহন না হওয়া কিন্তু গরম জলের ভাপ নেওয়ার সময় ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা কোলাজেন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক টানটান হয় এবং যৌবন বজায় থাকে। এছাড়া, ত্বকের ক্লান্তি ভাব দূর করতে স্টিম থেরাপি অনেক উপকারী।

 

এরপর ব্যবহার করুন ফেস মাক্স।বেসন, হলুদ, পাতিলেবু বা মধুর মত কিছু ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করলে, তার সঙ্গে অতি অবশ্যই মিশিয়ে নিন দুধের সর। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করবেন মুখের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

 

 

এরপর ব্যবহার করুন টোনার.. এটি মুখের পিএইচ মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।মুখের উজ্জ্বলতা এবং বলিরেখা দূর করতে গোলাপ দিয়ে টোনার বাড়াতে পারেন ।আপনি নিজেই বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন। গোলাপ ফুলের পাপড়ি জলে ভিজিয়ে রেখে তৈরি করা হয় গোলাপ জল।এটি প্রাকৃতিক টোনার (Toner)হিসেবে কাজ করে, যা চেহারার বলিরেখা দূর করে ত্বককেg টানটান করে।গোলাপফুলের রস ত্বককে সতেজ রাখে এবং ত্বকের রুক্ষতা দূর করবে।

 

ঘরোয়া ফেসিয়ালের শেষ ধাপ হল মশ্চারাইজার ।এমনিতে ত্বকের সঙ্গে মানানসই রেডিমেড ময়শ্চারাইজার মাখতেই পারেন। আর যদি সেটা না হয় আপনিই মসরাইজার হিসাবে নারকেল তেল কিংবা আমন্ড অয়েল মুখে ম্যাসাজ করতে পারেন।

Image source-google