মালদা (Malda) জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের কাতলামারি থেকে অপহৃত তৃণমল কর্মীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হল।বুধবার বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে মাখনার জলাশয় থেকে তার গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়।তবে দেহ মিললেও মাথার কোনো হদিশ এখনও মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম আব্দুল বারিক। সে উনসাহাকের ভাইপো। তাকে বশির ও তার দলবল অপহরণ করেছিল বলে অভিযোগ। এদিন বাশিরের ছেলে সাদ্দামকে নিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সাদ্দামই জলাশয়ে বারিকের দেহ খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে দেখিয়ে দেয়। বারিকের গলা কাটা ছিল। তার পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তবে দেহ মিললেও মাথার কোনো হদিশ এখনও মেলেনি। এদিকে ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাশিরকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নেপালে পালানোর সময় নেপাল সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করে এদিন সকালেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।
গত ১৪ মে শনিবার রাতে বাশির দলবল নিয়ে উনসাহাকের ভাইপো আব্দুর বারিকের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বাধা দেওয়ায় তার স্ত্রী সায়েমা বিবিকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর থেকে বারিকের খোঁজে তল্লাশি চালালেও তার হদিশ মেলেনি। মঙ্গলবার বাশির ধরা পড়তেই তাকে জেরা করে বারিককে খুনের বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ। তারপরেই বাশিরের ছেলে সাদ্দামকে নিয়ে তল্লাশি শুরু হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলেই এই খুন। ২ গোষ্ঠীর বিবাদের জেরেই খুন করা হয়েছে আবদুল বারিককে। তবে কী ভাবে খুন করা হল তা জানতে ধৃতদের লাগাতার জেরা করছে পুলিশ। অভিযুক্তদের পাশে দল দাঁড়াবে না বলে জানিয়েছেন মালদার তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।
আরো পড়ুন:Malda:নিজের স্বেচ্ছামৃত্যু চেয়ে তৃণমূলকে চিঠি লিখলেন তৃণমূল নেতা