জিএনএম স্টাফ নার্সিং নিয়োগ তালিকায় গরমিল।পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ হচ্ছে না।এমনি অভিযোগ তুলে উত্তাল হয় সোমবার স্বাস্থ্য ভবন (Swastha Bhaban) এলাকা।চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় একাংশ নার্সিং স্টাফরা।তাদের দাবি তারা প্রত্যেকেই ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ সালের পাশ করা ছাত্রী এবং তারা প্রত্যেকেই এলিজিবল। তাদের ৫০০০ জনের ইন্টারভিউ নেওয়া হলেও তাদের মধ্যে ২০০০ জনের মতকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এদের বাদ দিয়ে ২০২১ সালের পাস করা নার্সদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।

তাদের অভিযোগ,কম নম্বর পেলেও কিভাবে তালিকায় নাম এলো?অসংরক্ষিত পার্থীদের তালিকার মধ্যে ঢোকানো হয়েছে সংরক্ষিত তালিকার নাম।এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে সোমবার সকাল থেকেই সেক্টর ফাইভ হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড দপ্তরে ভিড় জমাতে থাকেন চাকরি প্রার্থীরা।কিন্তু বেলা গড়াতেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে। একেবারে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন চাকরি প্রার্থীরা। আর এরপরেই দফতরের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসে পড়েন চাকরি প্রার্থীরা।পুলিশ তাদের ওঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তারা।আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা। প্রায় তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই বিক্ষোভ। যার জেরে আটকে যায় রাস্তা।এমনকি তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় সল্টেলেকের একাংশ জায়গা।জানা যায় এদিন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের তরফ থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।

তবে এদিন পুলিশের বিরুদ্ধেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা।তারা বলেন, পুলিশ তাঁদের সঙ্গে দুব্যবহার করেছে। এমনকি মহিলা পুলিশ ছাড়াই মহিলাদের গায়ে পুরুষ পুলিশকর্মীরা হাত দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। এমনকি বিভিন্ন কুকথা বলাও অভিযোগ তোলেন। যা নিয়ে আরও তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পুলিশের তরফে এদিন এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

এদিন এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আলোচনা করতে নাকি আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে থেকে চারজনকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের তরফে। যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি আলোচনাও হয়নি।

 

আরো পড়ুন:SSC:এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভের চেষ্টা