দিল্লির বিজ্ঞানভবনে আয়োজিত শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ও বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়ে একটি যৌথ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সম্মেলনে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করার জন্য আদালতে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহারের ওপর জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Modi)।
দিল্লিতে আয়োজিত সেই যৌথ সম্মেলনে মোদি(Modi) বলেন,’ভারতে বিচার ব্যবস্থা যেখানে সংবিধানের অভিভাবকের ভূমিকা পালন করে, সেখানে আইনসভা নাগরিকদের আশা-আকাঙ্খার প্রতিনিধিত্ব করে। আমার বিশ্বাস সংবিধানের এই দুটি বিভাগের সম্মিলিত ভারসাম্য আগামীতে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে আরও সময়মাফিক ও কার্যকরী করে তুলবে।’
পাশাপাশি দেশের আইন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে আদালতে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করে মোদি(Modi) বলেন, ‘আদালতে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারে জোর দিতে হবে আমাদের। এর ফলে আমজনতার বিশ্বাস বাড়বে দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি। তাঁরা এর সঙ্গে আরও বেশি করে সংযোগ অনুভব করবেন।’
তিনি আরো জানান দেশে অন্তত ১৮০০ এমন আইন রয়েছে যা আজও প্রাসঙ্গিক এবং কেন্দ্র সেই আইনগুলোকে ইতিমধ্যে চিহ্নিতও করেছে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ১৪৫০টি আইন বাতিল করেছে। কিন্তু রাজ্যগুলি মাত্র ৭৫টি আইন বাতিল করেছে।’
দিল্লিতে আয়োজিত শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ও বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়ে যৌথ সম্মেলনে মোদি আবেদন জানান যে দেশে বিচারাধীন বন্দীর মামলাগুলোকে যেন প্রাধান্য দেওয়া হয়। তিনি জানান দেশে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ বন্দি রয়েছেন যাদের অধিকাংশই দরিদ্র মানুষ।
তিনি বলেন প্রতিটি জেলাতে জেলা আদালতের বিচারকের নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে যারা বিষয়টি দেখেন। সেই কমিটি চাইলেই বন্দীরা জামিনে মুক্তি পেতে পারেন। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সকলের কাছে আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি।