কোন নারী চায় না সুন্দর লম্বা আর ঘন চুল! কিন্তু বাস্তবে বদলে যাওয়া এই আবহাওয়া, পরিবেশের দূষণ, অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার কারণে চুল রুক্ষ শুষ্ক আর নির্জীব হয়ে যেন অভ্যাস দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু উপায় অবলম্বন করলেই পেতে পারেন শোন তোর নরম এবং সিল্কি চুল।দই আমাদের চুল সিল্কি, মজবুত করতে সাহার্য্য করে।সিল্কি চুল কার না পছন্দ। অনেক মেয়েরই স্বপ্ন থাকে ঘন কালো সিল্কি চুলের। শুধু তাই নয় দই চুলের খুশকি প্রতিরোধে,স্ক্যাল্প অ্যাকনে, চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা ও অন্যান্য স্ক্যাল্পের সমস্যাও সমাধান করে। আপনি নিজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে পদ্ধতি ব্যবহার করে রুক্ষ চুল থেকে মুক্তি পাবেন এবং পাবেন সিল্কি নরম চুল।
দুটি ম্যাশড কলার সাথে দুই টেবিল চামচ মধু, দই এবং অলিভ অয়েল আর ১টি ডিমের সাদা অংশ মেশান। এই প্যাক পুরো চুলে লাগিয়ে মাথায় একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে ফেলুন। তারপর ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবেও আপনার চুল পড়া অনেক কমবে। সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করবেন ।
চুলের যত্নে টকদই(Yoghurt )এর কোন বিকল্প নেই। টক দই এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে মাথার স্ক্যাল্পে লাগান । আধঘন্টা মত রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করবেন চুল পড়া কমে যাবে। খুশকি দূর হবে।
অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা থাকলে আমলকি দিয়ে একটা হেয়ার মাক্স তৈরি করুন।প্রথমে দুই চা চামচ আমলকির গুঁড়া সঙ্গে মেশাবেন সামান্য গরম জল। একটি পেস্ট তৈরি করুন। এরপর এর সঙ্গে দুই চা চামচ টক দই(Yoghurt ) ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর ভালো হবে মাথার ত্বকে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করবেন ।চুল পড়ার সমস্যা কমে যাবে।
সপ্তাহে অন্তত একদিন আপনাকে প্রোটিন হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে হবে। একটি কাঁচা ডিমের সঙ্গে তিন চামচ টক দই(Yoghurt ), এক চামচ মধু, এক চামচ অ্যালোভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে দু ঘন্টার জন্য চুলে লাগিয়ে রেখে দিন। কাঁচা ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন যা চুলকে স্বাস্থ্যকর ও সিল্কি করে তোলে, টকদই যা চুলে পুষ্টিযোগান দেয়। মধুর মধ্যে রয়েছে আন্টি অক্সিডেন্ট যা চুলকে ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং অ্যালোভেরায় থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান যা চুলের রুক্ষতা দূর করে।