রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো যুদ্ধবিরতির কোনোরকম চিহ্ন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। শুরুর দিকে পশ্চিমী দেশগুলি বা ন্যাটো সামরিক জোটের দেশগুলি ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত সেনা পাঠায়নি কেউ। এমনকি ইউক্রেনের আকাশকে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণার আর্জিও খারিজ করা হয়েছে। এই অবস্থায় ইউক্রেনে গেলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন(Boris Johnson)।

দেড় মাস ব্যাপী যুদ্ধতে ইউক্রেন একা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন(Boris Johnson) উপস্থিত হলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভে। কিয়েভের পথে তাকে হাঁটতে দেখা গেল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাথে। দুই রাষ্ট্রনেতার সাক্ষাতের পর ব্রিটেনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির নেতৃত্ব ও সাহসী পদক্ষেপের কারণেই ইউক্রেনীয়রা পুতিনের শয়তানির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন।’

জানানো হয়েছে যে ইউক্রেনকে ১২০টি সাঁজোয়া গাড়ি ও নতুন ধরনের জাহাজ-ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বরিস জনসন(Boris Johnson)। ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও ইউক্রেনকে অর্থ সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছে ব্রিটেন। এর আগেও ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল ব্রিটেন।

কিছুদিন আগেই ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনার বর্বরতার ভিডিও দেখিয়ে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছিলেন জেলেনস্কি। এমনটা দাবি তোলার কারণ ছিল যাতে ইউক্রেনের কোনো পদক্ষেপে বাধা না দিতে পারে রাশিয়া। এরপরেই জেলেনস্কি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন আন্তর্জাতিক আইন মেনে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে সবাই মিলে ইস্তফা দিয়ে রাষ্ট্রসংঘ ভেঙ্গে দিন।