ইউক্রেনের পূর্বে ক্রামাটরস্ক শহরের রেল স্টেশনে নিরীহ মানুষজন জড়ো হয়েছিলেন শহর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তা আর সম্ভবপর হলো না। রুশ সেনার ছোড়া রকেটে(Ukraine Crisis) শুক্রবার ক্রামাটরস্ক শহরের রেল স্টেশনে মারা যায় ৩৯ জন সাধারন মানুষ। এছাড়াও আহত হয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি।
যদিও রাশিয়া এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে। রকেট হামলার বিষয়ে ইউক্রেনের সিকিউরিটি সার্ভিস জানিয়েছে ঘটনাস্থলে(Ukraine Crisis) মৃতের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। এই প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ার শয়তানির শেষ নেই। শাস্তি না দিলে তারা থামবে না’।
যত দিন যাচ্ছে রাশিয়া তাদের হামলা আরো জোরদার করছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেন তার ধারণা আগামী সপ্তাহেই ইউক্রেনের পূর্বে ডনবাস অঞ্চলে আরো জোরদার আক্রমণ চালাতে পারে রাশিয়া। কাজেই একের পর এক হামলার ফলে পরবর্তীকালে অনেক হতাহতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিন ইউক্রেন যুদ্ধ(Ukraine Crisis) ও ন্যাটোর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে তুরস্ক, ব্রিটেন ও ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইস্তানবুলে বৈঠকে বসেন। ইতিমধ্যেই জাপান জানিয়েছে যে ইউক্রেনে গণহত্যার প্রতিবাদে তারা আটজন রাশিয়ান কূটনীতিককে বহিস্কার করেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য ও কৃষি দফতর জানিয়েছে বিশ্বের খাদ্যভান্ডার ইউক্রেনে যুদ্ধ চলার ফলে গম অন্যান্য খাদ্যশস্য রপ্তানিতে বিঘ্ন ঘটছে, ফলে বিশ্বজুড়ে রেকর্ড হারে খাদ্যশস্যের দাম বাড়ছে।