দার্জিলিং সফরে গিয়ে জিটিএর নির্বাচনের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপত্তি করেছিলেন বিমল গুরুং (Bimal Gurung)।
তাঁর দাবি ছিল, আগে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমাধান পরে জিটিএ।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তোমরা নিজেরা বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাও।
সেই লক্ষ্যেই কালিম্পংয়ে একটি সর্বদল সভা ডাকা হয়েছিল। ডেকেছিলেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুুং (Bimal Gurung)। আর সেই সভাতে নিজেই গরহাজির বিমল।
একসময় নিজেকে পাহাড়ের রাজা মনে করা বিমল নিজেই অনুপস্থিত।
একসময় পাহাড়ের মানুষ ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে পড়তেন আজ সেই মুকুট আর নেই। হারিয়েছেন পাহাড়ের মানুষের সমর্থন।
মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরের দ্বিতীয় দিনে পাহাড়ের মূল ৪ দলকে নিয়ে বৈঠক করেন।
মিটিং শেষে সব দলই GTA নির্বাচনের সমর্থন জানান। একমাত্র বেঁকে বসেন রোশন গিরিরা। তাঁরা সাফ জানান , আগে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমাধান হবে তারপর GTA নির্বাচন।
মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে থাকাকালীনই দার্জিলিংয়ের মালিধুরাতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিমল গুরুং। সেখান থেকেই জানান , পাহাড়ের সব দলকে নিয়ে বৈঠক করব । জানান, যা বলবেন তা সভার পর।
কালিম্পঙয়ের এক বিলাসবহুল হোটেলে ছিল সাজাসাজ রব । পাহাড়ের রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে সেমিনার ।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে উপস্থিত হলেন দলের সাধারন সম্পাদক রোশন গিরি ।
নেই বিমল । বৈঠকে দেখা মিলল না ভারতীয় গোর্খা প্রাজতান্ত্রিক মোর্চার , নেই হামরো পার্টি , নেই তৃণমূল।
যাদের শুধুমাত্র সংগঠনের নাম রয়েছে কিন্তু বাস্তবে তার কোন ভুমিকা খুঁজে পাওয়া যায় না তাদের নিয়ে শুরু হয় বৈঠক ।
বাম সংগঠন সিপিআরএম ও কংগ্রেসের সংগঠন গোর্খা রাষ্ট্রীয় কংগ্রেস উপস্থিত বৈঠকে । পাশাপাশি বেশ কিছু সমাজসেবী সংগঠনও উপস্থিত হয়েছেন ।