করোনার প্রকোপ কমতেই দেশে শিথিল হচ্ছে বিধি-নিষেধ। গতকাল অর্থাৎ ১লা এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি-নিষেধ দেশের অধিকাংশ অংশে প্রত্যাহার করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ তলানিতে ঠেকার কারণে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারত বায়োটেক(Bharat Biotech)। ভারত বায়োটেক ঘোষণা করেছে যে দেশে কোভ্যাক্সিন(Covaxin) উৎপাদন কমানো হবে।
করোনার বাড়বাড়ন্ত কমার সাথে সাথে দেশে করোনার টিকার চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। ফলে সেই চাহিদা হ্রাসের কথা মাথায় রেখে ভারত বায়োটেক(Bharat Biotech) ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে যে দেশে কোভ্যাক্সিন(Covaxin) উৎপাদন কমানো হবে। কোউইন(CoWIN) পোর্টালের তথ্য অনুসারে জানা যাচ্ছে ভারতে এখনো পর্যন্ত ৩০.৭৮ কোটি ডোজের কোভ্যাক্সিন টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। ভারত বায়োটেক প্রতিমাসে সরকারকে ৫ কোটি থেকে ৬ কোটি ডোজ কোভ্যাক্সিন সরবরাহ করতো।
সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে কোভ্যাক্সিনের(Covaxin) উৎপাদন কমানো হলেও টিকার গুণগতমানের কোন পরিবর্তন হবে না। পাশাপাশি যারা এখন টিকা নিচ্ছেন তারা টিকার বৈধ শংসাপত্রও পাবেন। অতিমারি চলাকালীন সংক্রমনের বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে টিকার চাহিদার কথা মাথায় রেখে উৎপাদনের বাড়িয়েছিল ভারত বায়োটেক। কিন্তু এখন অধিকাংশ মানুষই টিকার দুটি ডোজ নিয়ে ফেলেছেন এবং ইতিমধ্যে করোনার প্রকোপ অনেকটাই কম। তাই টিকা উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা।
প্রসঙ্গত, কোভ্যাক্সিন(Covaxin) ভারতের দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত কোভিড ভ্যাকসিন। বর্তমানে কোভ্যাক্সিন কেবলমাত্র সরকারি কর্মসূচির অধীনে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকাকরণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারত বায়োটেক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কোভ্যাক্সিন এখন শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের জন্য উপযুক্ত।