ক্রমাগত বাড়তে থাকা দূষণ কমাতে এবার নতুন অস্ত্র নয়াদিল্লির। এবার থেকে অফিশিয়াল কোন কাজে পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ি(Electric Vehicle) কে বেশি গুরুত্ব দেবে দিল্লি সরকার। এছাড়া ভাড়া এবং লিজের জন্যও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি(Electric Vehicle)। ক্রমবর্ধমান পেট্রোল ও ডিজেলের দাম এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূষণ। দূষণ রোধের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার। তার মধ্যে অন্যতম হল বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানো।
তবে এই মুহূর্তেই অফিসিয়াল কাজের জন্য পেট্রোল ডিজেল চালিত গাড়ি বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়েছে সরকার। এখন আমলা, মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যেরকম পেট্রোল ডিজেল চালিত গাড়ি ব্যবহার করছেন তেমনি করতে পারবেন।
গতবছর বৈদ্যুতিক যানবাহনের(Electric Vehicle) ওপরে দিল্লি সরকার এক বিশেষ কমিটি গঠন করে। কিন্তু বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনা এই মুহূর্তে ব্যয়বহুল হওয়ায় এবং চার্জিং পরিকাঠামোর অভাব থাকায় কমিটি কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যেই গাড়িগুলো সরকারি কাজে ভাড়া অথবা লিজ নেওয়া হবে সেগুলি বিদ্যুৎচালিত হবে।
এই বিষয়ে দিল্লি সরকারের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘সরকারি কাজে বিদ্যুত্ চালিত গাড়ির ব্যবহার সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই গাড়ির প্রতি এক আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করবে। মানুষ পেট্রোল ডিজেলের পরিবর্তে বিদ্যুত্ চালিত গাড়ি কিনতে আগ্রহী হয়ে উঠবে ফলে দূষণের মাত্রা অনেকটা কমবে’
বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের বিষয়ে দিল্লি সরকারের তরফে জারি করা নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে বিশেষ ক্যাটাগরির কয়েকটি যানবাহন অর্থাৎ অ্যাম্বুলেন্স, দমকলের গাড়ি ইত্যাদি বাদে জিএনসিটিডি অফিসারদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত সমস্ত লিজড বা ভাড়া করা গাড়িগুলি বিদ্যুৎচালিত হতে হবে।