উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েই জনসংযোগে বেরিয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যটকদের সঙ্গে কথা বললেন।
শুনলেন মানুষের অসুবিধার কথা। খোঁজ নিলেন কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে। এভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে খুশি পর্যটকরাও।
কেউ করজোড়ে নমস্কার করলেন। কেউ জিজ্ঞাসা করলেন, দিদি ভালো আছেন? আর রাস্তার ধারের চায়ের দোকানে চা খেতেও দেখা গেল তাঁকে।
আজ, সোমবার সকালে পায়ে হেঁটে ঘুরলেন ম্যাল, সিংমারী। রিচমন্ড হিল থেকে দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানা রোড ধরে প্রাতঃভ্রমণ সারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কথা বলেন পর্যটক, ব্যবসায়ী, স্থানীয়দের সঙ্গেও। জানা গেছে, মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ের ম্যালে সরকারি সভায় যোগদান করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
তার আগে এই সাধারণ মানুষের মাঝে নিজেকে পৌঁছে দেওয়া বেশ তাত্পর্যপূর্ণ।
এখানেই রাস্তায় এক বৃদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে জানান তাঁর অসুস্থতার কথা। তখনই জেলাশাসককে বৃদ্ধার চিকিত্সার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনার আবহে দীর্ঘদিন পর্যটক শূন্য ছিল উত্তরবঙ্গ। এখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে পাহাড়। তাই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
কেমন চলছে ব্যবসা? প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে আপ্লুত পাহাড়ের ব্যবসায়ীরা। মুখ্যমন্ত্রী অনেকক্ষণ কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। দোকানের জিনিসপত্রও ঘুরে দেখেন।
এখানে জিটিএ ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘণ্টা রবিবারই বাজিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি চাই আগামী মে-জুন মাসের মধ্যেই জিটিএ নির্বাচন হোক। পাহাড়ের দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’
এখন দার্জিলিংয়ের ম্যালের সভাস্থলে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মুখ্যমন্ত্রীর সফরকালে নিরাপত্তার চাদরে মুরে ফেলা হয়েছে গোটা দার্জিলিং।