গণহত্যার প্রতিবাদী মুখ হিসেবে রাজ্যের ৪৪ বছরে শাসন ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার কান্ডারী হিসেবে যে মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) এতদিন প্রশংসার পাত্রী ছিলেন, আজ তার শাসন ব্যবস্থায় এই ধরনের গণহত্যা রাজ্যের বর্তমান সরকারকে মাশুল গুণতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহলের ধারণা ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বর্তমান রাজ্য সরকার যেভাবে নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙ্গুল তুলেছিলেন এই হিংসার ঘটনাকে আড়াল করতে।
ঠিক তার পরবর্তীকালে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর নতুন করে ৩৫ জন রাজনৈতিক ব্যক্তির খুনের ঘটনা এবং রামপুরহাটের বগটুই কান্ড রাজ্যের বর্তমান সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলতে বাধ্য করেছেন। প্রসঙ্গত বলা যায়, বর্তমান রাজ্য সরকার সিপিএমের (CPIM) ৩৪ বছরের শাসন ব্যবস্থার মসনদকে যেভাবে একের পর এক হত্যা ঘটনা সামনে রেখে আন্দোলনের পথ কে সুগম করেছিল। তাপসী মালিক হত্যাকাণ্ড, নন্দীগ্রাম হত্যাকান্ড, ছোট আঙারিয়া এবং নেতাই এই ধরনের হত্যাকাণ্ড বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কথা তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে আন্দোলনের কান্ডারী করে তুলেছিলেন।
কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকারের ওপর ওঠা অভিযোগের আঙুল দিনের পর দিন কার্যত বর্তমান রাজ্য সরকারকে বড় মাশুল দিতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রামপুরহাট কান্ডকে ঘিরে যেভাবে উত্তাল হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি তার থেকে প্রমাণ হয়ে যায় রামপুরহাটের এই হত্যালীলা কার্যত সিপিএম ও বিজেপির কাছে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলতে জায়গা করে দিচ্ছে। বর্তমানের শাসক দল লোকসভার ভেতরে যেভাবে রাজ্যের বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রামপুরহাট কাণ্ড প্রসঙ্গ তুলে লোকসভার ভেতরে সরগরম করে তোলে ঠিক তখনই ঘটনাকে চাপা দেয়ার জন্য তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাকে রাজনৈতিক ব্যাখ্যা না দিয়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অপরদিকে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী আজকে যেভাবে রামপুরহাট ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং সিপিএম কে আক্রমণ করেছে তার থেকে একজন পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী কাছ থেকে এই ধরনের বার্তা আরো সরগরম করেছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলকে। এখন দেখার বিষয় আজ মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) রামপুরহাট সফর এবং মুখ্যমন্ত্রীর বর্তমান সিদ্ধান্ত কতটা হত্যালীলার পক্ষে থাকে তার দিকে তাকিয়ে থাকবে রাজ্যবাসী।
আরও পড়ুন : Mamata : বৃহস্পতিবার রামপুরহাট যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা