রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের আবহে গোটা বিশ্ব জুড়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা লক্ষ্য করা গেছে। প্রত্যেক দেশ নিজেদের সামরিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আর এবার সারফেস টু সারফেস ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র(BrahMos Missile) সফল উৎক্ষেপণ করে আরো শক্তিশালী হলো ভারত।

বুধবার আন্দামান ও নিকোবরে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের(BrahMos Missile) সফল উৎক্ষেপণ হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে শত্রুপক্ষের ঘাঁটিতে নির্ভুল নিশানায় হামলা করা যাবে। গত মাসেই ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ওড়িশার বালাসোর উপকূলে নতুন প্রযুক্তির ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করেছিল। তারপরেই চলতি মাসের শুরুতেই ভারতের নৌসেনা ব্রহ্মস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের দূরপাল্লার উন্নত সংস্করণ এর সফল উৎক্ষেপণ করে।

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের(BrahMos Missile) সফল উৎক্ষেপণ এর বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘সারফেস টু সারফেস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উত্‍ক্ষেপণে সেনা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান ভি আর চৌধুরি। উনি বর্তমানে আন্দামান নিকোবরেই রয়েছেন। ক্ষেপণাস্ত্র উত্‍ক্ষেপণের যাবতীয় ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেছেন।’

প্রসঙ্গত ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ২০০৫ সালে প্রথমবার তৈরি হয় ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র(BrahMos Missile)। এই মিসাইলটি দ্বারা ৪৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানা যায়। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কে বিশ্বের অন্যতম সেরা সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে মনে করা হয়। ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং রাশিয়ার মস্কোভা নদীর নামে এই ক্ষেপণাস্ত্রের নামকরণ করা হয়েছে। শব্দের তুলনায় প্রায় তিন গুণ দ্রুত গতিতে ছুটে যায় বলে এই মিসাইলটিকে রেডারও ধরতে অক্ষম। সম্প্রতি ফিলিপিন্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ভারতের থেকে এই মিসাইলটি কেনার জন্য চুক্তি করেছে।