নিজের সন্তানকেই খুনের(Murder) চেষ্টা এবং তারপরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী মা। মর্মান্তিক এই ঘটনার দৃশ্য দেখল জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লক পার্শ্ববর্তী ক্ষেতি ফুলবাড়ি ঘাটপার এলাকাবাসী। মৃতার দুই সন্তানের মধ্যে এক সন্তানের মৃত্যু (Murder) হয়েছে। অপর সন্তান আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে । মৃতার নাম অঞ্জলি মন্ডল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অঞ্জলি মন্ডল তাঁর এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ঘাটপার এলাকায় নিজের বাড়িতেই বসবাস করতেন। সোমবার দুপুরে অঞ্জলি মন্ডলের দিদিমা নমিতাবালা বিশ্বাস তাঁদের বাড়িতে আসেন। ঘরের দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ বশে অনেকক্ষন ডাকাডাকি করে সাড়া না পেলেও সেই মুহূর্তেই অঞ্জলি মন্ডলের ২ বছরের ছেলের গোঙানির আওয়াজ শুনতে পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই নমিতাদেবীর চিৎকার করে স্থানীয় লোকজনদের জড়ো করেন। তারপরেই দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাঁরা ঝুলন্ত অবস্থায় অঞ্জলি মন্ডলকে দেখতে পান। সেইসঙ্গে তাঁর দুই সন্তানের নিথর দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন।
তড়িঘড়ি স্থানীয়রাই তাঁদেরকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অঞ্জলি মন্ডল এবং তাঁর মেয়ে প্রিয়া মন্ডলকে মৃত বলে ঘোষণা করে। অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অঞ্জলি মন্ডলের ছেলেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । নমিতা দেবী আরো জানিয়েছেন, অঞ্জলির স্বামী রঞ্জিত মন্ডল কাজের সূত্রে কলকাতায় থাকেন। দুই সন্তানকে নিয়ে অঞ্জলি বাড়িতে একাই থাকতেন। তাই মাঝে মাঝেই তিনি দেখা করতে আসতেন । অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও দেখা করতে এসেছিলেন।
তিনি আরও জানান, এদিন সকাল ৯টা নাগাদ স্বামীর সঙ্গে অঞ্জলির ফোনে কথা হয়। হয়তো টাকা-পয়সা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিবাদের জেরেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অঞ্জলি। প্রতিবেশীরাও একই সন্দেহ করছেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান, দুই সন্তানকে কিছু খাইয়ে অথবা গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুনের(Murder) চেষ্টা করেন অঞ্জলি। তারপর নিজেও আত্মঘাতী হন। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ ।
Rape:পাঁচ বছর ধরে যৌণ লালসার শিকার ১১ বছরে নাবালিকা