আজ ছেলেকে ফিরে পেল না তাঁর মা। স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফিরল না ছেলে। পুকুর থেকে বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার হয় বছর সাতেক রাকেশের। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো এলাকাজুড়ে। পুরো ঘটনায় পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ৮ তারিখ নাগাদ স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে যায় রাকেশ। কিন্তু স্কুল থেকে ফিরে না এলে বাড়ির লোকজন খোঁজখবর শুরু করে। ছেলের খোঁজ না পাওয়ায় পরিবারের লোকেরা স্থানীয় পুলিশের স্টেশন দেহঙ্গা থানায় ছেলের নিখোঁজ অভিযোগ দায় করে। কিন্তু তারপরও খোঁজ মেলেনি ছেলের। শেষ পর্যন্ত 13 দিনের মাথায় খোঁজ পাওয়া যায় নিখোঁজ ছেলের। বেড়াচাঁপা চন্দ্রবকেতু গড়ের পেছনে পুকুরের মধ্যে বস্তাবন্দি দেহ পাওয়া যায় বছর সাতেক রাকেশের।
জানা যায় আম গাছে স্প্রে করতে আসা একজন লোক পুকুর একটি শিশুর পা দেখতে পায়। মুহূর্তের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। ঘটনায় পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হলে তার মা এসে তার ছেলেকে শনাক্ত করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে। কিন্তু খুনীকে(Murder) গ্রেফতার করার দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকার লোকজন।
ঘটনায় মৃতের বাবা স্বপন কাহার বলেন তার ছেলের খুনি(Murder) হচ্ছেন শিক্ষক। অনেক কষ্টে তিনি আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে হারান পাড়ুই নামে এক শিক্ষকের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন। কিন্তু তুমি নেওয়ার পরও তিনি সে জমি পাননি। জমি টাকা চাইলে তাকে নানা রকম হুমকি দেওয়া হতো। তার দাবি হারান পাড়ুই তার ছেলেকে খুন (Murder) করেছে। ঘটনায় দেগঙ্গা থানার পুলিশ হারানো পাড়ুইএবং তার ছেলে প্রীতম পাড়ুই কে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন Cyclone Asani: ‘অশনি’র প্রভাব কি পশ্চিমবঙ্গে পড়বে? দেখে নিন