ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশের সিলেবাসে জায়গা পেল ভগবত গীতা (Bhagabat Geeta)। শিক্ষামন্ত্রী জিতু বাঘানি গুজরাত বিধানসভায় একথা জানিয়েছেন।
শিক্ষা বাজেট নিয়ে সেই সময় গুজরাত বিধানসভা আলোচনায় এই কথা জানানো হয়।
ভগবত গীতার ওপর স্কুলগুলো প্রার্থনা, শ্লোক আবৃত্তি, অনুবাদ, নাটক, কুইজ, অঙ্কন এবং আবৃত্তি প্রতিযোগিতারও আয়োজন করতে পারবে বলেই বাঘানি জানিয়েছেন।
এতদিন গীতার মূল্যবোধ এবং নীতি নিয়ে আলোচনা মন্দির চত্বরেই হত। সেখান থেকে তা স্কুল চত্বরে প্রবেশ করানোর মত এতবড় সিদ্ধান্ত নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি মেনেই হয়েছে।
এমনটাই দাবি করেছে গুজরাত সরকার। কেন্দ্রের মোদী সরকার অতীত এবং বর্তমান সংস্কৃতি, প্রথার মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তোলার পক্ষপাতী।
ভারতের বৈচিত্র্যময় এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির কথা যাতে দেশবাসী জানতে পারে, সেটাই চায় মোদী সরকার।
দেশের অতীত গৌরব এবং সংস্কৃতির প্রতি দেশবাসীকে শ্রদ্ধাশীল করানোর জন্য শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছে কেন্দ্র। তৈরি হয়েছে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি।
তার সুবাদেই গুজরাতের স্কুলশিক্ষায় গীতার (Bhagabat Geeta) প্রবেশ বলে দাবি করেছেন জিতু বাঘানি।
বাঘানি জানান, দেশের সব ধর্ম এবং মতের মানুষ অতীতের হিন্দু সংস্কৃতির নীতি এবং আদর্শকে মেনে নিয়েছে। গীতার শ্লোকের গুরুত্ব শুধু ভারতই না। বিশ্বের বহু দেশই এখন উপলব্ধি করতে পেরেছে।
বাঘানি বলেন, ‘স্কুলে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে সর্বাঙ্গী শিক্ষা বা ধর্মীয় শিক্ষা নামে গীতা পাঠ্যবইয়ে থাকবে। আর নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রথম ভাষার পাঠ্যবইয়ে গীতা ঢুকবে গল্প বা গদ্যের আকারে।’
দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অভিযোগ করে আসছে, স্কুলশিক্ষায় গৈরিকীকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি এবং সংঘ পরিবার।
ধর্মীয় মেরুকরণ এবং কেন্দ্র-সহ বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষায় হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছে।