তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) যখনই কেউ ভোটে দাঁড়ানোর কথা বলেন, তখনই দেখা যায় তিনি বলছেন, আমি সংগঠনের লোক।

ওসব মন্ত্রী, বিধায়ক আমার দরকার নেই। সম্প্রতি তিনি এও বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে রাজ্যসভা দিতে চেয়েছিল।

আমি বলেছিলাম দল ছেড়ে দেব। সেই অনুব্রত মণ্ডল শুক্রবার বিধানসভায় এসেছিলেন।

বেরনোর সময় দেখা যায় বীরভূমের নেতা অভিজিত্‍ সিংহরায় অনুব্রতকে একটি দুধ সাদা ইনোভায় তুলে দিচ্ছেন।

চালকের পাশের আসনে সওয়ার হন কেষ্ট। তখনই দেখা যায় অনুব্রতর গাড়ির মাথায় একটি লালবাতি রয়েছে।

অনুব্রতর গাড়ির মাথায় লালবাতি কেন !

তিনি মন্ত্রী, সাংসদ‌না, ভারতরত্ন পাননি। না তো তিনি বিচারপতি—লালবাতি পাওয়ার কোনও মানদণ্ডই স্মরণে নেই কারও।

অনুব্রত (Anubrata Mondal) কি বেআইনি ভাবে, ক্ষমতার জোরে লালবাতি লাগানো গাড়ি চেপে ঘোরেন?

এই কৌতূহল যখন শুক্রবার বিধানসভার লবিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে তখন জানা গেল অনুব্রত মণ্ডল ওয়েস্ট বেঙ্গল রুরাল ডেভলেপমেন্ট অথোরিটির চেয়ারম্যান।

সেই সুবাদেই তিনি লালবাতি লাগানো গাড়ি পান। ফলে অন্য কিছু ভাবার অবকাশ নেই।

মমতা যেভাবে রুখে দিতে চাইছেন মোদীর চাল মাস আটেক আগে কলকাতায় গুচ্ছ গুচ্ছ ভুয়ো সরকারি আধিকারিকদের প্রতারণার ঘটনা সামনে আসছিল।

দেখা যাচ্ছিল যারা ধরা পড়ছে হয় তারা লালবাতি, নয় তারা নীলবাতির গাড়ি নিয়ে ঘোরে।

সেইসময়েই সরকারের তরফে নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়েছিল, কারা কোন রঙের আলো পাবেন গাড়িতে তার নির্দিষ্ট বিধি রয়েছে।

তাতে রাজ্য বা কেন্দ্রের বিভিন্ন স্বাশাসিত সংস্থার চেয়ারম্যানরা তালিকাভুক্ত ছিলেন।

সেই মতোই লালবাতি পান অনুব্রত মণ্ডলও। সেই কারণেই তাঁকে শেষবার মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূম জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে দেখা গিয়েছিল।