মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata) বিমান দুর্ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা চলছে হাইকোর্টে।
মামলাবাদী বিপ্লব চৌধুরী পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি করেন।
মামলাবাদীর অভিযোগ, ২০১৬ সালেও তিনি এ ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন।
তিনি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বিমানবন্দর থানায় এফআইআর দায়ের করেন এবং তদন্তের দাবি জানান।
কিন্তু রাজ্য পুলিশ এখনও দুর্ঘটনার তদন্ত করতে পারেনি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata) বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে তিনি আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
৪ মার্চ, বারাণসী থেকে কলকাতা ফেরার সময়, মুখ্যমন্ত্রীর বিমানটি হঠাত্ মাঝ আকাশে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
অবতরণের সময় বিমানটি প্রবলভাবে কাঁপছিল। পাইলট দক্ষতার সাথে বিমানটিকে বেশ খানিকটা নামিয়ে দেন।
মুখ্যমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীরা রাজ্য সরকার কর্তৃক চার্ট করা আরেকটি বিমানে চড়েছিলেন। ওই বিমানের পাইলটরা ছিলেন বাবা ও মেয়ে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, তিনি গত সোমবার বিধানসভায় প্রবেশ করার সময় তাঁর বিমানের সামনে আরেকটি বিমান অবতরণ করেছিল।
সংঘর্ষ এড়াতে পাইলট দক্ষতার সাথে বিমানটিকে প্রায় ৬০০০ ফুট নিচে নামিয়েছিলেন। খারাপ আবহাওয়ায় সেদিন কোনও দুর্যোগ ঘটেনি বলে দাবী করেন তিনি।
সূত্রের খবর, ডিজিসিএ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ। সেদিন তাঁর বক্তব্যে সেই ক্ষোভের কথা উঠেছিল।