বিজেপি (BJP) নেতা তথাগত রায়-এর ট্যুইট আক্রমণ থামতেই চাইছে না।

মঙ্গলবার জয়প্রকাশ মজুমদার-এর তৃণমূলে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্কিত ট্যুইট করেছিলেন তিনি।

এরপর ট্যুইটে বিঁধলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়-কে।

বুধবার ট্যুইটে তিনি লেখেন, “শ্রাবন্তী, সব্যসাচী দত্ত, বাবুল সুপ্রিয়, রাজীব, মুকুল, জয়প্রকাশ।

সকলেরই এক রুটিন। দিন তিনেক স্টেজে উঠে উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া, তারপর নিস্তরঙ্গ জীবন। এর মধ্যে শ্রাবন্তীই সবচেয়ে চালাক।

যা দেবার অকাতরে দিয়েছে, যা পাবার পেয়েছে, তারপর পেশায় প্রত্যাবর্তন, বাই বাই রাজনীতি!”

এর আগেও শ্রাবন্তী-কে ট্যুইটে কটাক্ষ করেছিলেন তথাগত রায়। তখন শ্রাবন্তী বিজেপিতে ছিলেন।

গঙ্গাবক্ষে এক অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রর সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়েই যত সমস্যার সূত্রপাত হয়। সেই নিয়ে খারাপ মন্তব্য ভেসে আসে শ্রাবন্তীর দিকে।

এইবার রাতারাতি দলবদল করা নেতাদের কটাক্ষ করতে গিয়ে আবারও শ্রাবন্তীর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।

গত এক বছরে একাধিক বিজেপি নেতা একে একে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়েছে হাতে। বাবুল সুপ্রিয়, জয়প্রকাশ মজুমদার-এর মত রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতারাও ছেড়েছেন পদ্ম শিবির।

দল বদলানো সকল নেতাদের কটাক্ষ করতে গিয়ে শ্রাবন্তীকে ফের ট্যুইট খোঁচায় বিঁধলেন তথাগত রায়। এই প্রসঙ্গে শ্রাবন্তী-ও অবশ্য চুপ করে থাকেননি।

পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন, “তথাগতদার সুস্থতা কামনা করি”। এক লাইনেই সমস্ত কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী।

গত বছর নভেম্বর মাসেই পদ্মশিবির (BJP) ত্যাগ করে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।

বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ নিয়েই তিনি বলেছিলেন, “বাংলার জন্য সেরকম কোনও উদ্যোগ নিতেই দেখিনি। তাই বিজেপির সঙ্গে সমস্তরকম সম্পর্ক ছিন্ন করলাম।”

বিজেপি ত্যাগ করার কিছু দিনের মধ্যেই তৃণমূলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান মঞ্চে দেখা যেতে শুরু করে অভিনেত্রী-কে।