ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার ধ্বংসাত্মক চিত্র দেখছে গোটা বিশ্ব। পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার এহেন পদক্ষেপকে নিন্দা করে বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক দিক থেকে রাশিয়াকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছে। আর এইবার রাশিয়ার অর্থনীতিকে কার্যত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিলেন বাইডেন(Biden)। এর আগেও আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে রাশিয়াকে কোণঠাসা করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রথম সারির দেশগুলি। পাশাপাশি ভিসা এবং মাস্টারকার্ডও রাশিয়াতে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন(Joe Biden) ঘোষণা করেন রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও জ্বালানির সবধরনের আমদানি নিষিদ্ধ।
ইউরোপের সর্ববৃহৎ তেলের সংস্থা শেল এবং বিপি ঘোষণা করেছে তারা আর রাশিয়া থেকে গ্যাস এবং তেল আমদানি করবে না। সুতরাং মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই নিষেধাজ্ঞা যে রাশিয়ার অর্থনীতিতে বড়োসড়ো প্রভাব ফেলবে এমনটাই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাইডেন(Biden) রাশিয়ার তেল-গ্যাস-এনার্জির ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করেন। অর্থাৎ এরপর থেকে মার্কিন বন্দরে রাশিয়ান তেল আর গ্রহণযোগ্য হবে না।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বারংবার পশ্চিমের দেশগুলোর থেকে সাহায্য চাইলেও রুশ প্রেসিডেন্ট সবাইকে সাহায্য না করার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেন। কিন্তু তারপরেই রাশিয়ার ওপর লাগাতার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে পশ্চিমের দেশগুলি সরাসরি যুদ্ধে না নেমে অর্থনৈতিক দিক থেকে রাশিয়াকে বড়সড় ধাক্কা দিতে চাইছে। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞায় আদৌ রাশিয়া যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাবে, নাকি হামলার গতি আরও বাড়াবে তা সময়ই বলবে।