রাত পোহাতেই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার মুখোমুখি হতে চলেছে ছাত্র-ছাত্রীরা। মূলত অতিমারী’র আতঙ্ক কাটিয়ে বাংলার ছাত্র-ছাত্রীরা বসলো মাধ্যমিক পরীক্ষায় (Madhyamik Exam)। হোম সেন্টার না হলেও, প্রতিটি জেলাতেই এবার পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। সমস্ত ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মেনেই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে অতিমারীর পর রাজ্যে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০ হাজার। এবার রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হল ১১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৬৩। যা সর্বকালীন রেকর্ড এবং গতবারের (২০২১) তুলনায় প্রায় ৫০ হাজার বেশি।
ছাত্রদের (৫,০০,০৫৯) তুলনায় ছাত্রী সংখ্যা (৬,২৬,৮০৪) অনেকটাই বেশি।এবার অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা। ২০২০ সালে (২৯২১ এ মাধ্যমিক হয়নি) পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল ২৮৩৯-টি, এবার তা হয়েছে ৪১৯৪।
পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা দ্বিগুণের থেকেও বেশি বেড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। ২০২০ সালে ছিল- ১২৪-টি, এবার তা হয়েছে ২৫৭-টি। পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলায় এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হল- ৫৮,৯২৩।
এইদিন সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam)। প্রথম ১৫ মিনিট অবশ্য প্রশ্ন পড়ার জন্য দেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষা হবে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হবে ১৬ মার্চ। প্রায় প্রতিটি জেলার মতো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও এবার বেড়েছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।
২০২১ সালে জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল ৫৬,৬৪৮ (সেবার যদিও পরীক্ষায় বসতে হয়নি)। এবার জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৫৮,৯২৩। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ২৭,৭৭৮ এবং ছাত্রী সংখ্যা ৩১,১৪৫। উল্লেখ্য যে ২০২০ সালে শেষবার যখন পরীক্ষার্থীরা মাধ্যমিক দিয়েছিল। সে বার পশ্চিম মেদিনীপুরে পরীক্ষার্থী ছিল ৫৩,৮৩৯।
সেই তুলনায় অতিমারী পর্ব কাটিয়ে বেশ অনেকটাই বেড়েছে পরীক্ষার্থী সংখ্যা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মধ্যে, খড়্গপুর মহকুমায় সর্বাধিক পরীক্ষার্থী (২৭,০০০), তারপর মেদিনীপুর সদর (২০,০১৫) এবং সবশেষে ঘাটাল মহকুমা (১১,৯০৮)।
আরও পড়ুন : Secondary Examination: পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকছে আইসোলেশন রুম, মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বড়ো ঘোষণা পর্ষদ সভাপতির