রুকস্যাক পিঠে পায়ে হেঁটেই লাদাখ( Ladakh) পাড়ি দিয়েছেন মিলন মাঝি। হুগলির সিঙ্গুরের বাঙালি বাসিন্দা মিলন।
প্রথম বাঙালি হিসাবে এমন নজির গড়বেন সিঙ্গুরের এই যুবক।
মিলন মেকানিকালের কোর্স করে কিছুদিন চাকরি করেছেন। লকডাউনে নিজের কাজ হারান তিনি। এরপর বাবার চায়ের দোকানে সাহায্যের হাত লাগান।
স্বপ্ন ছিল বরফের দেশ লাদাখ (Ladakh) যাওয়ার। নিম্নবিত্ত ঘরে বাইক কেনার মতো সামর্থ্য ছিল না।
আর্থিক অস্বচ্ছতার কাছে হার মানতে নারাজ ছিলেন ২৬ বছরের এই যুবক। ঠিক করলেন পায়ে হেঁটেই পাড়ি দেবেন লাদাখ।
গত দু’মাস ধরে রোজ সকাল বিকেল হাঁটা ও দৌড় শুরু করেন মিলন। নিজের শরীরকে এমন ভাবে তৈরি করেন যাতে প্রায় ২৫০০কিলোমিটার পথ হাঁটতে সক্ষম হন।
অবশেষে চলতি মাসের ২২ তারিখ হাওড়া ব্রিজ থেকে লাদাখের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন সিঙ্গুরের দামাল এই যুবক।
পিঠে একটি ৩৫ কেজির রুকস্যাক যাতে রয়েছে কিছু জামাকাপড়, টেন্ট, শুকনো খাবার, জল।
প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পথ হাঁটার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু মিলনের। ইতিমধ্যেই তিনি পশ্চিমবঙ্গের সীমানা পেরিয়ে গিয়েছেন।
মিলন জানিয়েছেন, তিনি ঠিক করেছিলেন এই বিশেষ যাত্রায় কোনও হোটেলে থাকবেন না।
তবে এখনও পর্যন্ত মানুষের যেভাবে ভালোবাসা পাচ্ছেন তাতে কেউ না কেউ ভালোবেসে ঠিকই রাত্রে থাকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।
আসলে এই প্রথমবার কোনো বাঙালি যুবক পায়ে হেঁটে লাদাখ পাড়ি দিচ্ছেন। তাই প্রত্যেক বাঙালিই চাইছেন মিলন জয়ী হয়ে ফিরুক।
ক্লান্তিকে জয় করে এগোত থাকেন মিলন মাঝি। এখন থেকেই তিনি দিন গুণছেন যে কবে ভূস্বর্গের পাদদেশে পা রাখবেন তিনি। জেদকে জিতিয়ে ফেরার লড়াই।
অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষদের কাছে তিনি যেন ইতিমধ্যেই হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণার আরেক নাম!