বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের (Tathagata Roy) আমন্ত্রণে সেখানে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়েও রাজ্য সরকারের কর্মপদ্ধতি নিয়ে তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল।
বিধানসভা অধিবেশনের দিনক্ষণ নিয়ে এখনও রাজ্য মন্ত্রিসভা- রাজ্যপালের সংঘাতে ইতি পড়েনি।
মঙ্গলবারও এ বিষয়ে আলোচনার জন্য রাজ্যপালের তলব পেয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। বিস্তর বিরক্তি প্রকাশ করেন জগদীপ ধনকড়।
তাঁর বক্তব্য, ‘যেভাবের রাজ্য চলছে, তাতে আমি ব্যথিত। নিজের সাংবিধানবিক অধিকার রক্ষা করা প্রয়োজন বলে মনে করি। এই কর্তব্য করেই যাব।’
৭ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন।
প্রথমে রাজ্য মন্ত্রিসভার তরফে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো সূচিতে ভুল টাইপের জেরে লেখা হয়, রাত ২টোয় রাজ্যপালের ভাষণ।
এটা অবশ্য ‘ছাপার ভুল’ হিসেবেই বিবেচিত হয়নি। রাজ্যপাল এই সময় বিভ্রাট নিয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভার সমালোচনা করেছেন একাধিকবার।
মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাঁকে ফোন করে ভুল সংশোধনের কথা বলেন, অ্যাডভোকেট জেনারেলও রাজভবনে গিয়ে সংশয় দূর করার চেষ্টা করেন।
রাজ্যপালের দাবি, রাজ্য মন্ত্রিসভার তরফেই তাঁর কাছে সংশোধিত চিঠি আসা উচিত্। এনিয়ে মঙ্গলবারও তিনি মুখ্যসচিবকে তলব করেছিলেন রাজভবনে।
সাক্ষাত্ সেরে বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের (Tathagata Roy) আমন্ত্রণে তাঁর বাড়িতে যান ধনকড়।
সেখানে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরেকপ্রস্ত তোপ দেগেছেন তিনি।
সংবিধানের নির্দিষ্ট ধারার কথা উল্লেখ করে রাজ্য প্রশাসন কর্তব্যে গাফিলতি করছে বলে অভিযোগ তাঁর।
নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েও রাজ্যপালের এহেন আচরণের নিন্দায় মুখর শাসকদল। ফলে সংঘাত আরও বাড়ল।